আইন-আদালত

মন্ত্রী রেজাউলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন আউয়াল

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় স্ত্রীসহ জামিন পাওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল। বুধবার (০৪ মার্চ) দুপুরে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ কে এম এ আউয়াল বলেন, মঙ্গলবার (০৩ মার্চ) দুদকের মামলায় আমি এবং আমার স্ত্রীর জামিন নামঞ্জুর করতে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবদুল মান্নানকে প্রভাবিত করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বিষয়টি নিয়ে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রীর নাজিরপুরের বাসায় গোপন বৈঠক করেন বিচারক আবদুল মান্নান। পরদিন ১ মার্চ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এস এম বেলায়েত হোসেন ও আমার আইনজীবীরা জেলা ও দায়রা জজ আবদুল মান্নানের সঙ্গে জামিনের বিষয়ে আলাপ করতে গেলে প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর নিষেধাজ্ঞার কথা স্বীকার করেন।

সাবেক এমপি আউয়াল বলেন, প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম প্রভাব খাটিয়ে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করে বিএনপি-জামায়াত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিভিন্ন স্থানে মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করেন। এছাড়া মন্ত্রী তার ভাইদের ঠিকাদারি কাজে যুক্ত করে কয়েকশ কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে নিয়েছেন। এমনকি আলোচিত ক্যাসিনো সম্রাট জি কে শামীমের কাছ থেকে তিনটি কালো রঙের দামি গাড়ি উপঢৌকন নিয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ পাইয়ে দিয়েছেন প্রাণিসম্পদমন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে আউয়াল বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের অংশগ্রহণের কথা মিথ্যা। শ ম রেজাউল করিম ১৯৬১ সালে জন্মগ্রহণ করেছেন। সে হিসাব অনুযায়ী ১৯৭১ সালে তার বয়স ৯ বছর। এ বয়সে তিনি কীভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন এবং কোথায় যুদ্ধ করেছেন তা আমরা জানতে চাই।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, সংবাদ সম্মেলনে সাবেক এমপি এ কে এম আউয়াল আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এনেছেন তার সবই মিথ্যা। নিজের দোষ ঢাকার জন্য এসব কথা বলছেন আউয়াল। তার এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button