আবারো বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজ
খাতুনগঞ্জের বাজারে আবারো বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। হিলি স্থলবন্দরে ভারত সরকার পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি করে। এতে একদিনের ব্যবধানে পাইকারী বাজারে কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ২৫ টাকা। আমদানিকারকরা জানান, রপ্তানিকে নিরুৎসাহিত করতে ভারত সরকার প্রতিটন পেঁয়াজের নূন্যতম বুকিং রেট ৮৫০ ডলার নির্ধারণ করে দিয়েছে। আগে প্রতি টন পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ৩০০ ডলারে আমদানি করা যেতো। তবে ভারতের বাজারে বর্তমানে কেজি প্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩২-৩৩ রুপিতে। ভারতের মহারাষ্ট্র ও নাসিক রাজ্যে বন্যার কারণে পেঁয়াজের ফলন ব্যাহত হয়। ফলে ভারতের বাজারেও দাম বেড়ে যায়। মূলত রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষে তারা রপ্তানিমূল্য বাড়িয়ে দেয়।
গতকাল খাতুনগঞ্জের বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকালের শুরুতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫৫ টাকায় বিক্রি হয়। তবে দুপুর গড়াতেই কয়েক ধাপে পেঁয়াজ দাম ৬০ টাকায় গিয়ে ঠেকে। খাতুনগঞ্জের আড়তদাররা জানান, গত দুই দিন ধরে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহও কমে গেছে। হঠাৎ করে ভারত রপ্তানিমূল্য বৃদ্ধি করায় পেঁয়াজের দাম আরো বাড়তে পারে বলে তারা আশঙ্কা করেছেন।
খাতুনগঞ্জের কয়েকজন পেঁয়াজ আমদানিকারক জানান, গত দুই আড়াই মাস ধরে পেঁয়াজের বাজার অস্থির। কিছুদিন দাম বাড়ে, আবার কিছুদিন পরে কমে যায়। গত সপ্তাহ ধরে খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে মিয়ানমারের পেঁয়াজ প্রবেশ করায় ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজিতে ৩-৪ টাকা পর্যন্ত দাম কমে যায়।
তবে আমাদের দেশ যেহেতু ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল, তাই ভারতীয় পেঁয়াজ সরবরাহ কমে গেলে দামও বেড়ে যায়। হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোহাম্মদ জুয়েল বলেন, শুক্রবার সরকারি ছুটি হওয়ায় পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। তবে ভারতীয় কৃষিপণ্য মূল্য নির্ধারণকারী সংস্থা ‘ন্যাপেড’ পেঁয়াজের টন প্রতি নূন্যতম বুকিং রেট ৮৫০ ডলার করে দেয়ায় ইতোমধ্যে পাইকারী বাজারে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। অবশ্য ভারত সরকার গত ২০১৭ সালের শেষ দিকে নিজেদের বাজার সামাল দিতে পেঁয়াজের নুন্যতম রপ্তানিমূল্য ৪৩০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৮৫০ ডলার করে। সেই সময় খুচর বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি ৮০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।
খাতুনগঞ্জের হামিদ উল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ভারত সরকার হঠাৎ করে রপ্তানিমূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে খাতুনগঞ্জের বাজারে পেঁয়াজের বাজার চাঙা রয়েছে। আমরা ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল। তাই ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেলে আমাদের বাজারে প্রভাব পড়ে।