রংপুর বিভাগসারাদেশ

পৃথক দুটি স্থানেই পাইকারী কাঁচা বাজার, সৈয়দপুর পৌর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: পাইকারী সবজি বাজারের স্থান নির্ধারন নিয়ে দুটি গ্রুপের সৃষ্ট সমস্যার সমাধান দিলেন নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর কর্তৃপক্ষ। গতকাল রবিবার চিঠির মাধ্যমে পৃথক দুটি স্থানকে অনুমতি দেয়া হয়। এ সংক্রান্ত চিঠির অনুলিপি জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) সহ উভয়ই বাজারের কমিটি এর নিকট পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, বিশ্ব মহামারী করোনা পরিস্থিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে অন্যান্য বাজারের ন্যায় শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কস্থ বেগম বাজারের পৌর পাইকারী কাঁচা বাজারটি শহর থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে বাইপাস সড়ক সংলগ্ন মিস্ত্রিপাড়ায় স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু লকডাউন তুলে দেয়ার পর অন্যান্য বাজার পূর্বের স্থানে ফিরিয়ে আনা হলেও পাইকারী সবজি বাজার (আড়ৎ) পূর্বের স্থানে ফিরিয়ে আনার জন্য ব্যবসায়ীদের একটি অংশ পৌরকর্তৃপক্ষসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে দাবী জানায়। কিন্তু অপর একটি অংশ বাইপাস সড়কে চালু হওয়া পাইকারী কাঁচা বাজারকে স্থায়ীরূপ দিতে প্রশাসনের কাছে দাবী জানান। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রকাশ্যে দুটি গ্রুপের সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে পৌর প্রশাসন বাইপাস সড়ক সংলগ্ন মিস্ত্রীপাড়া ওই বাজারকে স্থায়ীকরণে একটি নোটিশ জারী করে। ওই নোটিশের প্রতিবাদে পূর্বের স্থানে বাজার বসানোর দাবীতে কাফনের কাপড় পড়ে পৌর পরিষদ ঘেরাও কর্মসূচী পালন করে একটি গ্রুপ। এদিকে অপর গ্রুপ সংবাদ সম্মেলন করে মিস্ত্রীপাড়ায় পাইকারী বাজার গড়ে তোলা যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। এর বিপরীতে অন্য গ্রুপটি আবার গণপিটিশন দেন প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে। ফলে বাজার নিয়ে সৃষ্ট দুটি গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে এক অপরের বিরুদ্ধে মামলাও দায় করেন। যার ফলে যে কোন সময় অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটার আশংকা থেকে পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন সরকারের উদ্যোগে গত ২৫ জুন পৌর পরিষদে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে এবং শহরের যানজট নিরসনে পৃথক দুটি স্থানকে অনুমতি দেয়া হয়।

চিঠির সত্যতা নিশ্চিত করে সৈয়দপুর ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র জিয়াউল হক জিয়া বলেন, যেহেতু পাইকারী কাঁচা বাজার নিয়ে ব্যবসায়ীদের দুটি অংশে সৃষ্টি হয়েছে তাই সার্বিক বিবেচনায় দুটি স্থানেই বাজারের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া তিনি আরও জানান, চলতি বছর পৌর বাজেটে পাইকারী কাঁচা বাজারের জন্য ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ওই টাকায় একটি স্থান নির্বাচন করে পৌর পাইকারী কাঁচা বাজারের স্থায়ী রূপ দেয়া হবে এবং তখন সকল ব্যবসায়ী ওই বাজারে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করবেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button