রংপুর বিভাগ

হলুদ চাদরে ঢাকা ঘোড়াঘাটের মাঠ

ঘোড়াঘাট(দিনাজপুর): প্রকৃতির ষড় ঋতুর এই দেশে ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে যেমনি প্রকৃতির রূপ বদলায়, তেমনি বদলায় ফসলের মাঠ।এখন হলুদ চাদরে ঢাকা দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপলোর মাঠ। মাঠ জুড়ে এখন হলুদ সরিষা ফুলের সমারোহ। দুচোখ যেদিকে যায়, সে দিকে শুধু মন জুড়ানো সরিষা ফুলের দৃশ্যে। গাঢ় হলুদ বর্ণের সরিষার ফুলে ফুলে মৌমাছিরা মধু সংগ্রহের জন্য গুনগুন করছে। চলছে মধু আহরণের পালা। মৌমাছিরা মধু সংগ্রহে মাঠে নেমেছে। শীতের শিশির সিক্ত মাঠভরা সরিষা ফুলের গন্ধ বাতাসে ভাসছে। মানুষের মনকে পুলকিত করছে। সরিষার খেতগুলো দেখে মনে হয় কে যেন হলুদ চাদর বিছিয়ে রেখেছে। এখন শুধু দিগন্ত জুড়ে সরিষা ফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্য শোভা পাচ্ছে। সরিষা প্রধানত আবাদ হয় দোআঁশ ও বেলে-দোআঁশ মাটিতে তথা বিশেষ করে নদী বিধৌত এলাকায়। কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসে দু-একটি চাষ বা বিনা চাষেই জমিতে ছিটিয়ে সরিষা বীজ বপন করা হয়। সেচ ও সার লাগে কম তা ছাড়া সরিষার পাতা একটি উৎকৃষ্ট জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ঘোড়াঘাট উজেলায় এ বছর ১১৭০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন কৃষকেরা। গত বছর চাষ হয়েছিল ৩৩৫ হেক্টর জমিতে।এর মধ্যে কিছু কিছু জমিতে মধু আহরণের জন্য চাষিরা মধু সংগ্রহের বাক্স বসিয়েছেন। তেল, বীজ, মধুর পাশাপাশি কৃষকরা সরিষা থেকে উন্নত গো-খাদ্যও তৈরি করতে পারবে বলে আশাবাদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গা,নারায়ণপুর,রামপাড়া,সাতপাড়া,গোবিন্দপুর,গুাগাছী,ঘনকৃঞ্চপুর,মারুপাড়া,ভর্নাপাড়া,চাঁদপাড়া,কুমুরিয়া,রামনগর,খাইরুল,বুলকীপুর ইউনিয়নের কৃঞ্চরামপুর ,জয়রামপুর,কলাবাড়ী,বিন্যাগাড়ী,রঘুনাথপুরসহ উপজেলার ও বিস্তীর্ণ এলাকার মাঠ জুড়ে হলুদে ছেয়ে গেছে। কৃষক সামসুল ইসলাম বলেন, সরিষা চাষে খরচ কম,লাভ বেশি হওয়ায় কৃষি বিভাগের পরামর্শে আমি ২ বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছি। আশা করছি এবার সরিষা চাষে লাভবান হতে পারব। উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ এখলাস হোসেন সরকার বলেন, সরিষা প্রধানত আবাদ হয় দোআঁশ ও বেলে-দোআঁশ মাটিতে তথা বিশেষ করে নদী বিধৌত এলাকায়। কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসে দু-একটি চাষ বা বিনা চাষেই জমিতে ছিটিয়ে সরিষা বীজ বপন করা যায়। সেচ ও সার লাগে কম তা ছাড়া সরিষার ঝরে পড়া পাতা ফুল একটি উৎকৃষ্ট জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। উপজেলার সকল প্রান্তিক চাষিদের সরকারি প্রণোদনা প্যাকেজ সরিষার বীজ, সার, বিনামুল্যে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।সরিষা চাষে খরচ কম হওয়ার কারণে সরিষা চাষ করে খুবই লাভবান হওয়া যায়। সরিষা থেকে ভালোমানের তেল উৎপাদন হয়। সরিষা থেকে তৈরী খৈল গরুর খাদ্য হিসেবে খাওয়ানো হয়। এতে প্রচুর পুষ্টি থাকে। এবার ১১৭০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে।গতবার সরিষা চাষ করা হয়েছিল ৮৩৫ হেক্টর জমিতে। এ মৌসুমে ৩৩৫ হেক্টর জমিতে বেশী সরিষা চাষ হয়েছে।ঘোড়াঘাট(দিনাজপুর) থেকে মাহতাব উদ্দিন আল মাহমুদঃ
প্রকৃতির ষড় ঋতুর এই দেশে ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে যেমনি প্রকৃতির রূপ বদলায়, তেমনি বদলায় ফসলের মাঠ।এখন হলুদ চাদরে ঢাকা দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপলোর মাঠ। মাঠ জুড়ে এখন হলুদ সরিষা ফুলের সমারোহ। দুচোখ যেদিকে যায়, সে দিকে শুধু মন জুড়ানো সরিষা ফুলের দৃশ্যে। গাঢ় হলুদ বর্ণের সরিষার ফুলে ফুলে মৌমাছিরা মধু সংগ্রহের জন্য গুনগুন করছে। চলছে মধু আহরণের পালা। মৌমাছিরা মধু সংগ্রহে মাঠে নেমেছে। শীতের শিশির সিক্ত মাঠভরা সরিষা ফুলের গন্ধ বাতাসে ভাসছে। মানুষের মনকে পুলকিত করছে। সরিষার খেতগুলো দেখে মনে হয় কে যেন হলুদ চাদর বিছিয়ে রেখেছে। এখন শুধু দিগন্ত জুড়ে সরিষা ফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্য শোভা পাচ্ছে। সরিষা প্রধানত আবাদ হয় দোআঁশ ও বেলে-দোআঁশ মাটিতে তথা বিশেষ করে নদী বিধৌত এলাকায়। কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসে দু-একটি চাষ বা বিনা চাষেই জমিতে ছিটিয়ে সরিষা বীজ বপন করা হয়। সেচ ও সার লাগে কম তা ছাড়া সরিষার পাতা একটি উৎকৃষ্ট জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ঘোড়াঘাট উজেলায় এ বছর ১১৭০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন কৃষকেরা। গত বছর চাষ হয়েছিল ৩৩৫ হেক্টর জমিতে।এর মধ্যে কিছু কিছু জমিতে মধু আহরণের জন্য চাষিরা মধু সংগ্রহের বাক্স বসিয়েছেন। তেল, বীজ, মধুর পাশাপাশি কৃষকরা সরিষা থেকে উন্নত গো-খাদ্যও তৈরি করতে পারবে বলে আশাবাদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গা,নারায়ণপুর,রামপাড়া,সাতপাড়া,গোবিন্দপুর,গুাগাছী,ঘনকৃঞ্চপুর,মারুপাড়া,ভর্নাপাড়া,চাঁদপাড়া,কুমুরিয়া,রামনগর,খাইরুল,বুলকীপুর ইউনিয়নের কৃঞ্চরামপুর ,জয়রামপুর,কলাবাড়ী,বিন্যাগাড়ী,রঘুনাথপুরসহ উপজেলার ও বিস্তীর্ণ এলাকার মাঠ জুড়ে হলুদে ছেয়ে গেছে। কৃষক সামসুল ইসলাম বলেন, সরিষা চাষে খরচ কম,লাভ বেশি হওয়ায় কৃষি বিভাগের পরামর্শে আমি ২ বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছি। আশা করছি এবার সরিষা চাষে লাভবান হতে পারব। উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ এখলাস হোসেন সরকার বলেন, সরিষা প্রধানত আবাদ হয় দোআঁশ ও বেলে-দোআঁশ মাটিতে তথা বিশেষ করে নদী বিধৌত এলাকায়। কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসে দু-একটি চাষ বা বিনা চাষেই জমিতে ছিটিয়ে সরিষা বীজ বপন করা যায়। সেচ ও সার লাগে কম তা ছাড়া সরিষার ঝরে পড়া পাতা ফুল একটি উৎকৃষ্ট জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। উপজেলার সকল প্রান্তিক চাষিদের সরকারি প্রণোদনা প্যাকেজ সরিষার বীজ, সার, বিনামুল্যে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।সরিষা চাষে খরচ কম হওয়ার কারণে সরিষা চাষ করে খুবই লাভবান হওয়া যায়। সরিষা থেকে ভালোমানের তেল উৎপাদন হয়। সরিষা থেকে তৈরী খৈল গরুর খাদ্য হিসেবে খাওয়ানো হয়। এতে প্রচুর পুষ্টি থাকে। এবার ১১৭০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে।গতবার সরিষা চাষ করা হয়েছিল ৮৩৫ হেক্টর জমিতে। এ মৌসুমে ৩৩৫ হেক্টর জমিতে বেশী সরিষা চাষ হয়েছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button