জাতীয়

অবসরের পর দোষী প্রমাণিত হলে পেনশন বাতিল

অবসরে থাকা সরকারি কর্মচারীরা অপরাধী হিসেবে দোষী প্রমাণিত হলে তাদের পেনশন সুবিধা বাতিল, স্থগিত বা প্রত্যাহার করার বিধান রহিতের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়নি মন্ত্রিসভা। গতকাল সোমবার ওই বিধান রহিতের প্রস্তাব করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) আইন, ২০২১’এর খসড়া সোমবার মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হয়। তবে তা অনুমোদন না  হওয়ায় বিদ্যমান বিধানটিই বহাল থাকল।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ প্রস্তাব করেছিল। সরকারি চাকরি আইনের ৫১(৪) ধারায় বলা হয়েছে, ‘অবসর সুবিধাভোগী কোনো ব্যক্তি গুরুতর অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত বা কোনো গুরুতর অসদাচরণের দোষে দোষী সাব্যস্ত হলে, কারণ দর্শানোর যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান করে, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, তার অবসর সুবিধা সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বাতিল, স্থগিত বা প্রত্যাহার করতে পারবে।’

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি বৈঠকে যুক্ত হন। আর মন্ত্রীরা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে বসেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়া ব্যক্তিদের অন্য কোথাও চাকরি করা কিংবা বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমান বিধানটি সংশোধন করে সরকারের অনুমোদনের বাধ্যবাধকতা আরোপের প্রস্তাব করা হলেও সেটিও অনুমোদন করেনি মন্ত্রিসভা। আগে যেটা ছিল, সেটিই থাকবে। তবে সরকার যদি কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেয়, তাহলে তা করতে পারবে।

বৈঠকে বাংলাদেশ লিগ্যাল প্র্যাকটিশনার্স অ্যান্ড বার কাউন্সিল (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স, ২০২১–এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বার কাউন্সিল আইনে বার কাউন্সিলে ৩১ মের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। তিন বছরের জন্য তাদের কমিটি হবে এবং সেই কমিটি তিন বছরের মেয়াদ থাকতেই শেষ বছরের ৩১ মের মধ্যে নির্বাচন দেবে। কিন্তু মহামারিতে বা দুর্যোগ হলে সে ক্ষেত্রে নির্বাচন না হলে কী করণীয়, তা আইনে ছিল না। এখানে প্রস্তাব করা হয়েছে এক বছরের জন্য সরকার অ্যাডহক কমিটি করে দিতে পারবে এবং ১৫ সদস্যের এ কমিটি সর্বোচ্চ এক বছরের মধ্যে নির্বাচন দেবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button