আরও ৩০ লাখ ডোজ টিকা দেশে পৌঁছেছে

মহামারি রোধে বৈশ্বিক টিকাদান কর্মসূচির আওতায় দেশে পৌঁছেছে মডার্নার আরও ৩০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন।
সোমবার (১৯ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকায় পৌঁছায় টিকা বহনকারী কাতার এয়ারওয়েজের বিমানটি। টিকা নিয়ে বিমানটি সকালে অবতরণের কথা থাকলেও বিমানের শিডিউল পরিবর্তনের কারণে রাতে এসে পৌঁছায়। কোভ্যাক্সের আওতায় এ পর্যন্ত মডার্নার ৫৫ লাখ ডোজ টিকা দেশে পৌঁছালো।
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টিকা গ্রহণ করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এ নিয়ে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশকে মডার্নার ৫৫ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে, গেল ২ জুলাই রাত সোয়া ১১টার দিকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে ১৩ লাখ ডোজ মডার্নার টিকার প্রথম চালান দেশে পৌঁছায়। পরদিন ৩ জুলাই সকালে ঢাকায় পৌঁছায় মডার্নার আরও ১২ লাখ ডোজ মডার্নার ভ্যাকসিন।
করোনা সংক্রমণ ও মহামারি রোধে গেল ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু করে সরকার। সে সময় টিকা নিশ্চিত করতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এশিয়া অঞ্চলের উৎপাদক ও পরিবেশন ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করা হয়। তবে, চুক্তি অনুযায়ী প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহের কথা থাকলেও তাতে ব্যর্থ হয় ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটি। এরপর টিকা সংকটে ভ্যাকসিন কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।
তবে, পরবর্তীতে টিকাদান কার্যক্রম নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক টিকাদান কর্মসূচি কোভ্যাক্সের পাশপাশি রাশিয়ার স্পুৎনিক, জনসন অ্যান্ড জনসন, চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাকের সঙ্গে যোগাযোগ করে সরকার। তাতে ব্যাপক সাড়াও মিলেছে। ইতিমধ্যে সিনোফার্মের বেশকিছু টিকা দেশে পৌঁছেছে।
টিকা সংকট কেটে যাওয়ায় ফের শুরু হয়েছে গণহারে টিকাদান কার্যক্রম। এদিকে, মহামারি রোধে বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় আনতে ইতিমধ্যে টিকাগ্রহণের বয়সসীমা কমিয়ে সর্বনিম্ন বয়স ৩০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।