
সম্প্রতি প্রকাশিত এশিয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সর্বশেষ ইকোনমিক আউটলুক আপডেটে দেখা গেছে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত নয় বরং বাংলাদেশই অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে।
এডিবির আপডেটে দেখা গেছে, বাংলাদেশের এক উচ্চ এবং ধারাবাহিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি মুদ্রাস্ফীতির হারও স্থিতিশীল রয়েছে।
২০১৬ সাল থেকেই বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭% হারে বেড়ে চলেছে। যা চলতি বছরেই ৮% ছাড়িয়ে যাবে এবং পরের বছরও অব্যাহত থাকবে।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য বড় অর্থনীতির দেশগুলোর প্রবৃদ্ধিও হয় মাঝারি মাত্রায় সীমাবদ্ধ (শ্রীলঙ্কা) অথবা ওঠা-নামা (পাকিস্তান) করছে।
২০১৬ সালের পর থেকেই ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমছে। পণ্য বিক্রয় কমে যাওয়া এবং শিল্প উৎপাদন কমে যাওয়া সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত দেখে ধারণা করা হচ্ছে এবছর ভারতের প্রবৃদ্ধি ৭% এর নিচে থাকবে। তবে এডিবির ধারণা পরের বছর ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭.২%-তে পৌঁছাবে।
ভারত থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যে কারণে
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো ভারতের চেয়ে একেবারেই আলাদা। ভারতে সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি বাড়ছে অপ্রত্যাশিতভাবে। কিন্তু শিল্প-কারখানার অবদান প্রত্যাশার চেয়েও কম। কিন্তু বাংলাদেশের শিল্পখাতে প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে চলেছে প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি।
যার ফলে বাংলাদেশে নতুন নতুন কর্মসংস্থানও বেড়ে চলেছে। কিন্তু ভারতের জনসংখ্যার এক বিশাল অংশ এখনো কৃষি খাতের ওপরই অতিরিক্ত বোঝা হিসেবে আটকে আছে। কৃষিখাতের অতিরিক্ত শ্রমিকদের জন্য কর্মসংস্থান করতে সক্ষম যে শিল্প খাত সেই শিল্প খাতের বিকাশের গতি ধীর হয়ে এসেছে ভারতে।
বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ শিল্পখাত অনেক শক্তি প্রদর্শন করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্য যুদ্ধ তীব্র হওয়ার মধ্যেও বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে। ২০১৮ সালে রপ্তানির হার ছিলো ৬.৭%। যা ২০১৯ সালে বেড়ে ১০.১% হয়েছে। েগার্মেন্টস খাতে রপ্তানি ৮.৮% থেকে বেড়ে ১১.৫% হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভারত, জাপান, চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশের গার্মেন্ট রপ্তানির চাহিদা বেড়েছে।
ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের রপ্তানির নতুন বাজারও বেড়েছে। ২০১২-১৩ অর্থ বছর থেকে ভারতের রপ্তানি বেড়েছে মাত্র ১.৫%।
সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস