জাতীয়

ওমিক্রন প্রতিরোধে পুলিশের প্রতি নির্দেশনা

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন প্রতিরোধ ও পুলিশ সদস্যদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (অপারেশনস্-২) মোহাম্মদ উল্ল্যা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও নতুন ধরনটির প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। নতুন ধরন ওমিক্রন প্রতিরোধে প্রত্যেক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব (ডিউটি) পালনের সময় অবশ্যই মাস্ক, গ্ল্যাভস, হেডকভার, ফেসশিল্ড প্রভৃতি পরিধান করবেন।

ডিউটি পালনকালে কিছু সময় পরপর হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে এবং নিয়মিত ডিউটি শেষে সাবান অথবা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। ওমিক্রনের উপসর্গ দেখা দিলে আইসোলেশন সেন্টারে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দ্রুত করোনা টিকা গ্রহণ করতে হবে।

পুলিশের সকল ইউনিটে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস এবং নো মাস্ক নো এন্ট্রি’ নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মাস্কের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

ডিউটিরত সকল ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব (কমপক্ষে ৩ ফুট বা ১ মিটার), হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

সেবাগ্রহীতা ও দর্শনার্থীদের পুলিশ স্থাপনায় প্রবেশের ক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় ও হাতধোয়া অথবা স্যানিটাইজ নিশ্চিত করতে হবে।

প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী (মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ইত্যাদি) ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

অপারেশনাল কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র, হ্যান্ডকাফ, রায়ট গিয়ার, হ্যান্ডমাইক, মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ে ইত্যাদি যথাযথভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

ডিউটি শেষে আবাসস্থলে প্রবেশের আগে ইউনিফর্ম ও জুতা ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করা এবং সাবান দিয়ে গোসল করতে হবে।

ডাইনিং রুম, ক্যান্টিন, বিনোদন কক্ষ, রোল কল, ডিউটিতে যাওয়ার আগে ও ডিউটি থেকে ফেরার পরে, সমাবেশস্থলে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

করোনা উপসর্গ দেখা দিলে কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে ছিল বা এসেছে এমন পুলিশ সদস্যদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।

করোনা পজেটিভ সদস্যদের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় বা বিভাগীয় অথবা জেলা পুলিশ হাসপাতাল ও স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

জরুরি প্রয়োজনে রোগীকে অন্যত্র স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ইউনিট ইনচার্জ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ইউনিট ইনচার্জ ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিজ ইউনিটের আক্রান্ত সদস্য ও তার পরিবারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা এবং সার্বিক সহায়তা প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া হাজতখানা সর্বদা জীবাণুমুক্ত রাখা এবং হাজতে থাকাকালীন কোনো ব্যক্তির করোনার লক্ষণ প্রকাশ পেলে অবিলম্বে তাকে পৃথক করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

রেশন সামগ্রী, ঔষধ ইত্যাদি সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স কর্তৃক প্রণীত এসওপি’র নির্দেশনাসমূহ অনুসরণ এবং রোলকলে সচেতনতামূলক ব্রিফিং প্রদান করার কথা বলা হয়েছে।

এরই মধ্যে করোনা সংক্রান্ত প্রেরিত নির্দেশনা যথাযথ ও আন্তরিকভাবে পালন করতে বলা হয়েছে।

প্রত্যেক পুলিশ ইউনিটে কর্মরত সকল সদস্যদের স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে করোনা (বুস্টার ডোজ) টিকা গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী বিধায় সকল পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গকে অবশ্যই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button