করোনায় জীবন বাঁচাতে বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের জীবন বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন ডিএনসিসি মেয়র।অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি মেয়রের সৌজন্যে দেশের সর্ববৃহৎ ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল’ এর পরিচালকের নিকট করোনা রোগীদের জীবন রক্ষাকারী হাই ফ্লো নজেল ক্যানোলা মেশিন, বাইপ্যাপ মেশিন এবং বাইপ্যাপ মেশিনের এক্সেসরিজ হস্তান্তর করা হয়।ডিএনসিসি মেয়র সমাজের বিত্তবানদের প্রতি ত্যাগ ও কোরবানির এই পবিত্র জিলহজ্জ্ব মাসেই নিজ নিজ অবস্থানে থেকে ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসায় আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান।
মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক দিকনির্দেশনা ও আন্তরিক সহযোগিতার ফলেই অল্প সময়ের মধ্যো প্রস্তুতকৃত দেশের সবচেয়ে বড় এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল’ এ করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।তিনি বলেন, এই হাসপাতালের জমি, ভবন, বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। সাত দশমিক এক সাত একর জমিতে তৈরি এক লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ বর্গফুট আয়তনবিশিষ্ট ডিএনসিসির একটি বিপণীবিতানকে ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল’ এ রূপান্তর করা হয়েছে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, এই ভবনটি মার্কেটের জন্যই করা হয়েছিল। এখানে দোকান বরাদ্দ থেকেই বছরে প্রায় একশ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। নগরবাসীকে সেবা দিতেই এটিকে হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়েছে।মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবায় বিনামূল্যে ব্যবহারের জন্য তার পক্ষ থেকে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে অত্যাধুনিক দুইটি অ্যাম্বুলেন্স এবং একটি লাশবাহী গাড়িও দেয়া হয়েছে।তিনি বলেন, মহামারি চলাকালীন এটি কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেবে। মহামারি শেষ হলে এটি সিটি করপোরেশনের জেনারেল হাসপাতাল হিসেবে পরিচালিত হবে। সেখানে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে।ডিএনসিসি মেয়র আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সশরীরে পশুর হাটে না গিয়ে অনলাইনে ডিএনসিসি ডিজিটাল হাট-২০২১ থেকে কোরবানির পশু ক্রয় করার জন্য পরামর্শ দেন।মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে আমাদের সকলকে সরকারের নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্য বিধিসমূহ যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।প্রধান অতিথি হিসেবে নিজের বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি মেয়র হাসপাতালের পরিচালকের নিকট ৮টি হাই ফ্লো নজেল ক্যানোলা মেশিন, ১৮টি বাইপ্যাপ মেশিন এবং ৪০ প্যাকেট বাইপ্যাপ মেশিনের এক্সেসরিজ হস্তান্তর করেন।অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা এবং হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। সূত্র অনলাইন