সারাদেশ

সাতকানিয়া উপজেলা আর বোয়ালখালীতে ২০ বাড়ি লকডাউন

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: মঙ্গলবার নতুন করে পাঁচজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার পর চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলা অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন করা হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভায় উপজেলা প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নেয়।

বৈঠকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৭টি ইউনিয়ন লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে জরুরি পরিসেবা, চিকিৎসা সেবা, কৃষিপণ্য-খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ ও সংগ্রহ, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ব্যাংকিং সেবা, মোবাইল ব্যাংকিং, ওষুধ শিল্প সংশ্লিষ্ট যানবাহন ও কর্মী লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-ই আলম বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী কিছুক্ষণ আগে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির বৈঠকে সাতকানিয়া উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৭টি ইউনিয়ন লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত পুরো উপজেলা লকডাউনের আওতায় থাকবে। এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারির প্রক্রিয়া চলছে।

এদিকে, বোয়ালখালীতে উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব খিতাপচর এলাকার ২০ বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১০টায় বোয়ালখালীতে ৭০ বছর এক বৃদ্ধ করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার পর উপজেলা প্রশাসন লকডাউনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

এ খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ রাত আড়াইটার সময় বৃদ্ধকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এছাড়া বৃদ্ধের বাড়িসহ আশপাশের ২০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বোয়ালখালীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

এর আগে ওই বৃদ্ধ নগরীর বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডা. লিয়াকত। তিনি জানান, বোয়ালখালীতে যে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন তিনি ম্যাক্স হাসপাতালে গত সোমবার চিকিৎসা নিয়েছেন। চিকিৎসা শেষে তিনি বোয়ালখালী ফিরে গেলেও মঙ্গলবার তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ এসেছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আছিয়া খাতুন জানান, বৃদ্ধ বেশ কিছুদিন যাবত জ্বর, সর্দি-কাশিতে ভুগছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ি আসেন। ওই ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যদের যাতায়াতের স্থানসহ তারা কাদের সংস্পর্শে এসেছেন সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করা হচ্ছে। করোনাভাইরাস শনাক্তর হওয়ার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্সযোগে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আছিয়া খাতুন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনাব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী, বোয়ালখালী থানার ওসি, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার প্রতিনিধি।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button