বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ব্রিটিশ প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি দেশের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। গণতন্ত্রের সঙ্গেও জড়িত। বিষয়টি ব্রিটিশ প্রতিনিধি দল বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেছে।
আমীর খসরু বলেন, ‘মূলত বাংলাদেশের প্রকৃত অবস্থাটা কী তারা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছে। আমরা বাস্তব অবস্থাটা তুলে ধরেছি। আলোচনায় অনেক ইস্যুর মধ্যে বেগম জিয়ার মুক্তির বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। আমরা তাদের বলেছি, চেয়ারপারসন গুরুতর অসুস্থ হলেও সরকার তার চিকিৎিসার ব্যবস্থা করছে না। জামিনে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের বক্তব্যে ব্রিটিশি প্রতিনিধি দল অনুধাবন করতে পারছে যে, বিষয়টি বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের একটা ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশনেত্রীর মুক্তির বিষয় যেমন রাজনীতির সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত, তেমনি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সঙ্গেও ওতোপ্রতোভাবে জড়িত।’
তিনি বলেন, ‘দেশে যে নির্বাচন হয়ে গেলো তা যে গ্রহণযোগ্য হয়নি দেশে-বিদেশে, এটার সমাধান কী হতে পারে, এটার থেকে কীভাবে আমরা বেরিয়ে আসতে পারি তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, দেশের অর্থনীতি, দেশের বিচার ব্যবস্থা, রোহিঙ্গা সমস্যার নিয়েও আলোচনা হয়েছে। খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়ায় তারা (বৃটিশ প্রতিনিধিদল) উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া বৃটিশ প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত সমাধানও চান।’
বৈঠকে আমীর খসরু ছাড়াও অংশ নেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, কেন্দ্রীয় নেতা জহিরউদ্দিন স্বপন, ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, তাবিথ আউয়াল, জেবা খান, একাদশ সংসদের সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মাদ সিরাজ, মোশাররফ হোসেন, জাহিদুর রহমান জাহিদ, রুমিন ফারহানা।
ব্রিটিশ প্রতিনিধি দলে ছিলেন কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অ্যান মেইন, ভাইস প্রেসিডেন্ট পাউল স্কলি ও বব ব্ল্যাক মেন।
১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সফরে আসেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এ প্রতিনিধি দল। শুক্রবার তাদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।