রংপুর বিভাগসারাদেশ

সৈয়দপুরে দখলের উদ্দেশ্যে বিরোধপূর্ণ বিচারাধীন জমিতে মসজিদ নির্মাণের অভিযোগ

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুরে বায়না রেজিস্ট্রিকৃত ও আদালতে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় জমিতে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে জমির সিংহভাগ অংশের মালিক শহরের চিনি মসজিদ এলাকার আল হাজ্ব আবুল কাশেম মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন তার অপর ৩ জন ক্রয় সহযোগীর (পার্টনার) বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তিনিসহ শাহেদ আলী, আব্দুর রউফ ও আরমান হোসেন ৪ জন যৌথভাবে শহরের ইসলাম বাগ ফিদালী মাঠ থিম পার্ক সংলগ্ন এলাকায় ডা.শেখ হাবিবুর রহমানের কাছ থেকে ২০১৬ সালের ২৩ জুন কয়া মৌজার জে এল নং ০৭ অন্তর্ভূক্ত খতিয়ান নং এসএ- ৩০৬৫, বিএস ৬৪২, দাগ নং এসএ ৬৭৬৮, ভিপি/ বিএস ১২৮১৭, ১২৮১৮, ১২৮১৯, ১২৮২০, ১২৮৮১ দাগে ৭৫ শতক এবং এসএ ৩৩০১, বিএস ১১৭৭, দাগ নং এসএ ৬৭৭০, ভিপি/এবএস দাগ ১২৮২৪ দাগের ৫৭ শতক জমি যৌথভাবে বায়না রেজিস্ট্রি করেন। বায়নাকৃত ১৩২ শতকের মধ্যে ১০২ শতকের অংশিদার তিনি। আর ১০ শতক করে ৩০ শতক জমির মালিক উল্লেখিত ৩ জন। কিন্তু বায়নার মেয়াদান্তে মালিক জমিটি তাদের রেজিস্ট্রি করে দিতে বিভিন্ন টাল বাহানা শুরু করে। বাধ্য হয়ে পরবির্ততে ওই ৪ জন যৌথভাবে আদালতে জমির মালিকের বিরুদ্ধে চুক্তি প্রবলের মামলা করেন। অপরদিকে মামলাটি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ক্রয়সহযোগী ৩ জন আব্দুল্লাহ আল মামুনের অংশ দখলের উদ্দেশ্যে ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করে জমিতে শুরু করে মসজিদ নির্মাণ কাজ । এতে তিনি বাধা দিলে ওই সহযোগীরা তাকে হুমকি-ধামকিসহ হয়রানি করছে। এব্যাপারে তিনি সৈয়দপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেছেন। এছাড়া তিনি নীলফামারী আদালতে ওই জমিতে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলার বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদনও করেছেন।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, জিডি পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে নির্মাণকারীদের স্থাপনা নির্মাণে নিষেধ করা হয়েছে। যেহেতু বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন তাই ভিকটিমকে আদালতের আশ্রয় নেয়ার পরামার্শ দেয়া হয়েছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button