করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন বাস্তবায়নের ভূমিকায় ভাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগ
ভাঙ্গা(ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ পৃথিবী জুড়ে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুরো দেশ আজ থমকে গেছে। তবুও যে যার অবস্থান থেকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।সেই পথ ধরেই মানুষের পাশে এসে দাড়াল ভাঙ্গা উপজেলার মানবিক ছাত্রলীগ। অসহায়, দিনমজুর মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভাঙ্গা উপজেলার নেতা-কর্মিরা।
ভাঙ্গার পরিস্থিতি এতোটাই নাজুক হয়ে পরেছিল যে, তা আঁচ করতে পেরে উপজেলা প্রশাসন ভাঙ্গা পৌর সভাকে রেডজোন এলাকা হিসেবে ঘোষনা করেন। পরে ১৫ ই জুন রাত ১২ পর থেকে লগডাউন ঘোষনা করেন।এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ সম্মতিতে ভাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সবুজ মোল্লা সনেট ও সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলামের তত্বাবধানে ভাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগ এর সভাপতি রায়হান মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব মোল্লা ও ছাত্রলীগ নেতা আবির মুন্সী বিতুর নেতৃত্বে প্রায় ৯০ জন সেচ্ছাসেবী রাত দিন ২৪ ঘন্টা কাজ করে যাচ্ছে। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন ছাত্রলীগের নিবেদিত প্রাণ নেতাকর্মীরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিবুর রহমান খান জানান , ভাঙ্গা উপজেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে গত ১৫ জুন দিবাগত রাত ১২টা থেকে ৩০ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত ভাঙ্গা পৌর এলাকা লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ঐ সময় ঔষধের দোকান ছাড়া সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ভাঙ্গা উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগ এর পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে করোনা মুক্ত রাখতে উপজেলা ও পুলিশ প্রসাশন এর পাশাপাশি রাত দিন কাজ করে যাচ্ছে। ভাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগকে বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আকরামুজ্জামান (রাজা) বলেন, ভাঙ্গা পৌর এলাকায় অনেক লোকের বসবাস। লকডাউন এর ফলে সবাই আটকা পড়ে আছেন। তাই করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি/ পরিবারের মাঝে প্রয়োজনীয় নিত্যদিনের বাজার, ঔষধ এমনকি করোনা আক্রান্ত রুগির মাঝে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়ার মতো দায়িত্ব পালন করছে উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মীরা । আমি তাদের সফলতা কামনা করি।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম বলেন, গত ১৫/০৬/২০২০ হতে করোনা ভাইরাস (কোভিড১৯) সংক্রমণ রোধে, ভাঙ্গা উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন এর পাশাপাশি একাধারে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের প্রত্যেকটা নেতাকর্মী। এ কাজে আমাদের বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। আমাদের এই সেবা সব সময়ে সাধারণ মানুষের জন্যে অব্যাহত থাকবে যতো দিন না আমরা এই মহামারী থেকে মুক্তি পাচ্ছি।
পৌর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্মসম্পাদক আবির মুন্সি বিতু বলেন বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস মহামারী আসার পর থেকে আমাদের দেশ রতœ শেখ হাসিনার নির্দেশে ক্রমে ফরিদপু-৪ এর অভিভাবক জননেতা কাজী জাফরউল্ল্যাহ’র নির্দেশনায় আমরা ভাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগ অসহায় মানুষের দারে দারে গিয়ে তাদের খাদ্য সামগ্রী নিশ্চিত করেছি আমরা একটি কল সেন্টার চালু করেছি যেখানে ফোন করলে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে,আমরা করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে ফল,ওষুধ দিয়ে এসেছি,অক্সিজেন সেবা সহ মাক্স,লিফলেট, জীবানু নাসক স্প্রে করেছি এবং সারা রমজান মাসে আমরা পর্যায়ক্রমে প্রায় ৮০০ রোজাদার কে ইফতার করিয়েছি এবং অসহায় দের ঘড়ে ঘড়ে সেহেরি পৌঁছে দিয়েছি।আমাদের উপজেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে প্রায় ৬০০ পরিবার কে ত্রান দিয়েছি এই মহামারী যতদিন থাকবে ভাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগ আমাদের অভিভাবক কাজী জাফরউল্ল্যাহর নেতৃত্বে মাঠে থাকবে।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে উপজেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে লিফলেট, মার্ক্স বিতরণ, জীবাণুনাশক স্প্রে ও মাইকিং করা করা হয়েছে।করোনা পরিস্থিতিতে ভাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগের মানবিক দিক গুলো ফুটে উঠেছে।