জাতীয়

নিউ ইয়র্কে হামলাকারীকে ধরিয়ে দিয়ে ৪৩ লাখ টাকা পুরুস্কার পেলেন সিরিয়ান যুবক

নিউ ইয়র্ক: নিউ ইয়র্কে পাতাল ট্রেনে বন্দুক হামলাকারীকে ধরিয়ে দিয়ে ৪৩ লাখ টাকা (৫০ হাজার মার্কিন ডলার) পুরুস্কার পেলেন ২১ বছর বয়সি সিরিয়ান অভিবাসী জাকারিয়া তাহহান ওরফে জাচ তাহহান। গত ১২ এপ্রিল নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনের সানসেট পার্ক এলাকার ৩৬তম স্ট্রিটের পাতাল ট্রেনে এক বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৯ ব্যক্তি আহত হয়। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে সরাসরি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিয়ে তাকে ধরিয়ে দিয়ে পুলিশ বিভাগ ঘোষিত ৪৩ লাখ টাকা (৫০ হাজার মার্কিন ডলার) পুরুস্কার পান জাকারিয়া। এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।
নিউ ইয়র্ক সিটি কর্তৃপক্ষ গত বুধবার (১৩ এপ্রিল) জাকারিয়া তাহহানকে পুরুস্কারপ্রাপ্তের নাম ঘোষনাসহ নায়ক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেন। ২১ বছর বয়সী সিরিয়ান অভিবাসী জাকারিয়া তাহহান ওরফে জাচ তাহহান ৫ বছর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে বর্তমানে নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের বসবাস করছেন জাকারিয়া। তিনি পাঁচটি ভাষায় কথা বলতে পারেন। তিনি একটি কোম্পানির সব ধরণের নজরদারি ক্যামেরা ইনস্টল করে থাকেন। পাতাল ট্রেনে বন্দুক হামলাকারীকে ধরিয়ে দেবার পর জাকারিয়া রাস্তায় একটি সংবাদ সম্মেলন করেছিল যেখানে কয়েক ডজন সাংবাদিক তাকে ঘিরে ধরেছিল। তাদের মধ্যে কেউ কেউ দ্বিগুণ পুরস্কারও প্রদানের কথাও দাবি করেন, কারণ কেউ জানে না বন্দুক হামলাকারী ফ্র্যাঙ্ক জেমস আর কি কি করতে যাচ্ছিল।
সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমার যখন ১৩ বছর বয়স, তখন ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। চোখের সামনে মানুষ মানুষকে হত্যা করার বিভৎস দৃশ্য দেখেছি। এ কারণে যখনই কোনো হামলার ঘটনা দেখি, তখনই আমার পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে। আমি মনে করি, যেসব নিরপরাধ মানুষের ওপর হামলা হয়েছে, তাদেরও স্ত্রী-সন্তান ও পরিবার-পরিজন আছে। কেন অকারণে মানুষ মানুষকে হত্যা করছে। তাই টিভিতে হামলাকারীকে দেখামাত্র পুলিশকে ফেন দিই এবং তাকে গ্রেফতারে সব ধরনের সহযোগিতা করি। এ ঘটনার পরে রাতারাতি হিরো বনে যান সিরীয় এ তরুণ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সির বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে বর্তমানে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের বসবাস করছেন। গ্রেফতারের পর হামলাকারী পুলিশকে জানিয়েছেন, আরও ভয়াবহ হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। অর্থাৎ তাকে যথাসময়ে গ্রেফতার করতে না পারলে আরও হামলার আশঙ্কা ছিল।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button