সারাদেশ

করোনার উপসর্গ নিয়ে ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনের মৃত্যু

মহামারি করোনার উপসর্গ জ্বর, গলা ব্যথা, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টে গত বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় তিন যুবকসহ ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা পরীক্ষার জন্য মৃতদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে শুক্রবার আরো তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় করোনার উপসর্গে ৩৯ জন মারা গেলেন।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন নওগাঁ সদর উপজেলার ঘোষপাড়ার চিরঞ্জিত মণ্ডল (৫০) ও রাজশাহীর বাগমারার মজিদপুরের নবিকুর রহমানের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪৫)। রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস এ তথ্য জানান।
বৃহস্পতিবার রাতে শারাফাত হোসেন (৫০) নামে এক জন খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মারা গেছেন। তিনি নগরীর দৌলতপুরের কবির বটতলা এলাকার বাসিন্দা। তিনি খুলনা মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জেসমিন সুলতানা শম্পার স্বামী। ডা. মিজানুর রহমান এ তথ্য জানান।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মো. শাহ আলম (৪০) নামে এক ব্যক্তি শুক্রবার করোনার উপসর্গে মারা গেছেন। ঢাকার দোহার উপজেলায় মো. তরিকুল ইসলাম (৩৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তরিকুল উপজেলার সুতারপাড়া গ্রামের মরহুম সিরাজুল ইসলামের ছেলে। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে নাজমা বেগম (৪৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বাড়িতে আইসোলেশনে থাকাবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি বড়কাশিয়া বিরামপুরের বাহাম গ্রামের বাসিন্দা শুক্কুর আলীর স্ত্রী।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় করোনা উপসর্গ নিয়ে একাধিক হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে অবশেষে বিনা চিকিৎসায় বৃহস্পতিবার রাতে মারা গেলেন এক যুবক। তার নাম শুকুর আলী (২৯)। সদর ইউনিয়নের বজ্রাপুর গ্রামের এই যুবক কোহিনুর কেমিক্যাল কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে গাজীপুরের কাপাশিয়ায় কাজ করতেন।
এদিকে বগুড়ার কাহালু উপজেলায় এক যুবক (৩৬) ও শিবগঞ্জ উপজেলার এক ব্যক্তি (৫০) শুক্রবার জ্বর, শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button