জাতীয়

চকবাজারে অগ্নিকাণ্ড : হোটেলের মালিক গ্রেপ্তার

পুরান ঢাকার চকবাজারের কামালবাগ দেবীদ্বারঘাটে প্লাস্টিক গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবনের নিচে থাকা বরিশাল হোটেলের মালিক ফখরুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে চকবাজার থানা পুলিশ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. জাফর হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ভবন মালিক ও প্লাস্টিক কারখানার মালিককে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় পুুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে।

গতকাল সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে চকবাজারে প্লাস্টিকের গুদামে আগুন লাগে। দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় ছয়জনের মরদেহ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। মৃতরা হলো- বিল্লাল সরদার (৩৫), আব্দুল ওয়াহাব ওসমান (২৫), স্বপন সরকার (২২), রুবেল (৩২), মোতালেব (১৫) ও শরিফ (১৫)।

তারা সবাই ভবনটির নিচতলায় ‘বরিশাল হোটেল’ নামের একটি রেস্তোরাঁর কর্মী। ছয়জনই ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে ঘুমিয়ে ছিল বলে ধারণা করছেন উদ্ধারকারীরা। নিচতলার রেস্তোরাঁ ও প্লাস্টিকের গুদাম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ভবনটির তৃতীয় তলা এবং টিনশেড দিয়ে তৈরি করা চতুর্থ তলায় প্লাস্টিকের কারখানা ও গুদাম ছিল।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, সরু রাস্তার গলিতে আবাসিক ভবনে কারখানা ও গুদাম ঝুঁকিপূর্ণভাবে থাকায় এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। একই এলাকায় আরো অনেক ভবন ঝুঁকিপূর্ণ।

উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে লাগা আগুন ১০টি ইউনিটের চেষ্টায় দুপুর আড়াইটার দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে। এর মধ্যে কারখানার ভবনটির লাগোয়া আরো তিনটি ভবনের কিছু অংশ আগুনে পুড়েছে। উদ্ধার করা মৃতদেহগুলো বেশি দগ্ধ ও খণ্ডিত হওয়ায় শনাক্ত করা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের জন্য মৃতদেহগুলো স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা সদরের জোন-১-এর উপসহকারী পরিচালক বজলুর রশিদ বলেন, ‘নিহত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনের মরদেহ আগুনে পুড়ে হাড় বেরিয়ে গেছে। একজনের চেহারা কিছুটা বোঝা যায়। প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা, তারা ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। ’ সন্ধ্যা পর্যন্ত আগুনের ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ ও তল্লাশি চলছিল বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক।

পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) জাফর হোসেন বলেন, উদ্ধার করা মরদেহগুলো স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষায় পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button