প্রখ্যাত অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান আর নেই

শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একুশে পদকপ্রাপ্ত এ অভিনেতা।
তার মেয়ে কোয়েল আহমেদ এ সংবাদ নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার বিকেলে শ্বাসকষ্ট নিয়ে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। তবে তার করোনার কোনও উপসর্গ ছিল না জানিয়েছেন তার মেয়ে কোয়েল আহমেদ।
মূলত অ্যাজমাজনিত কারণেই বেড়েছে শ্বাসকষ্ট। শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার সঙ্গে বুকে শব্দও হচ্ছিল। পাশাপাশি রেগুলার চেকআপ করার সময়ও হয়েছিল। তাই তড়িঘড়ি করেই এটিএম শামসুজ্জামানকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন মেয়ে কোয়েল আহমেদ।
কোয়েল জানান, হাসপাতালে ভর্তির আগে দু’দিন ধরে বমি হচ্ছিল। তাঁর ঠাণ্ডাসহ বেশ কিছু সমস্যা ছিল।
১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে এটিএম শামসুজ্জামান জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। প্রথম চিত্রনাট্যকার হিসেবে তিনি কাজ করেছেন ‘জলছবি’ সিনেমায়। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন বর্ষীয়ান এ অভিনেতা। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- জলছবি, জীবন তৃষ্ণা, স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা, যে আগুনে পুড়ি, মাটির ঘর, মাটির কসম, চিৎকার ও লাল কাজল ইত্যাদি।
তবে ১৯৬৫ সালে অভিনেতা হিসেবে এটিএম শামসুজ্জামানের সিনেমায় অভিষেক ঘটে। ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ সিনেমায় খলনায়ক হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। সিনেমার পাশাপাশি অসংখ্য খণ্ড নাটক ও ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তিনি।
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য এ অভিনেতার একমাত্র পরিচালিত সিনেমা ‘এবাদত’। এখন পর্যন্ত পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এ কিংবদন্তি। কাজী হায়াতের ‘দায়ী কে’ সিনেমার জন্য দুটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান তিনি। এরপর ‘চুড়িওয়ালা’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’ এবং ‘চোরাবালি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য একই পুরস্কার লাভ করেন এটিএম শামসুজ্জামান।