জাতীয়রাজনীতিলিড নিউজ

প্রধানমন্ত্রী দেশের স্বার্থ বিকিয়ে কোনো চুক্তি করেন না : সেতুমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফলতা দেখে বিএনপির গাত্রদাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে বিএনপি যে সমালোচনা করছে এটি তাদের অপরাজনীতির বহি:প্রকাশ। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকায় তারা অসংলগ্ন বক্তব্য দিচ্ছে। ছিটমহল চুক্তি হয়েছে, তিস্তা নিয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে সফল হবেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে চুক্তি করবেন না।

আজ রবিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম শীর্ষক বিভাগীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভারত সফর শেষে বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন তিনি গঙ্গা চুক্তির কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলেন। খালেদা জিয়া আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক নন। তিনি বঙ্গবন্ধুর মেয়ে। তিনি দেশ ও মানুষের জন্য রাজনীতি করেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে কোন চুক্তি সংবিধান বিরোধী এবং দেশ বিরোধী হয়েছে তার সঠিক প্রমাণ দেবেন কী। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়বেন না। বিএনপির জনপ্রিয়তা নেই তা রংপুরের নির্বাচনে ফের প্রমাণ হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে কেউ কোনো নেতার সামনে নিজেকে জাহির করার চেষ্টা করবেন না। প্রধানমন্ত্রী তাঁর কর্মীদের ভাষা বুঝতে পারেন। আওয়ামী লীগে অনেক যোগ্য নেতা রয়েছে, কাকে দলের কোন দায়িত্ব দিতে হয় তা তিনি জানেন। তিনি দলের আগামী সম্মেলনে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন। আওয়ামী লীগ এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আমি নিজেও ফেসবুকে বিশ্বের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে কথা বলি। এতে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। কিন্তু মাঝে-মাঝে এতে কুরুচি কথাবার্তা দেখা যায়। এটি আমাদের পরিহার করা প্রয়োজন।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় এবং শেখ রেহানার ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির নেতৃত্বে আগামী ২০২০ সালের মধ্যে সফটওয়ারে ব্যাপক সাফল্য বয়ে আনবে। তারা এ বিষয়ে কাজ করছেন।

আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে এতে উপ-কমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। পরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ হলে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন। তিনি সেখানে সকলের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button