জাতীয়

বগি লাইনচ্যুত, ঢাকা-উত্তরবঙ্গ ট্রেন চলাচল বন্ধ

জয়পুরহাটের তিলকপুর রেলস্টেশনে ঢাকাগামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ট্রেনে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন চার ট্রেনের যাত্রীরা।

শনিবার (১৬ জুলাই) ভোর ৫টায় জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর রেলস্টেশনে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এতে আক্কেলপুর রেলস্টেশনে ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন, জয়পুরহাটে রাজশাহীগামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেন ও সান্তাহার রেলস্টেশনে পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেন ও চিলাহাটীগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন আটকা পড়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন ট্রেনযাত্রীরা। কেউ কেউ আবার বিকল্প পথে ঢাকায় রওনা দিচ্ছেন।

আক্কেলপুর স্টেশন মাস্টার তোফাজ্জল হোসেন জানান, পঞ্চগড় বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি শনিবার ভোর ৪টা ৪৮ মিনিটে আক্কেলপুর রেলস্টেশন ছেড়ে যায়। ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার ১২ মিনিট পর আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর রেলস্টেশনে ট্রেনের একটি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এরপর ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভোর ৫টা ৮ মিনিটে আক্কেলপুর ঢোকে। তখন থেকে ট্রেনটি আক্কেলপুর রেলস্টেশনে আটকে আছে। অপরদিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি ও খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটীগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি সান্তাহার রেলস্টেশনে আটকে রয়েছে।

আক্কেলপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি আক্কেলপুর রেলস্টেশনের এক নম্বর লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। ট্রেনটির ছাদ ও বগিতে কোথাও ফাঁকা নেই। লাইন সচল হতে দেরি হওয়ায় অনেক যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে বাসযোগে বগুড়ায় যাচ্ছেন।

বিরামপুর উপজেলার বাসিন্দা রেজাউল করিম বলেন, ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করি। আজ সকালে কাজে যোগদান করার কথা ছিল। এমনিতেই নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন দেরিতে ছেড়েছে। তারপর একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি আক্কেলপুর রেলস্টেশনে দুই ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছে। এ কারণে বিকল্প পথে ঢাকায় যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছি।

সৈয়দপুর উপজেলার বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ট্রেনে যাত্রী দাঁড়িয়ে থাকার মতো অবস্থা নেই। তারপরও কষ্ট করে ছাঁদে উঠেছিলাম। একটি ট্রেন সামনের রেলস্টেশনে লাইনচ্যুত হওয়ায় রোদ ও গরমে ট্রেনের ছাঁদে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই বাসে করে বগুড়ায় যাবো। সেখান থেকে ঢাকায় যাব। এমন দুর্ভোগে আগে কখনও পড়িনি।

আক্কেলপুর রেলস্টেশনের মাস্টার তোফাজ্জল হোসেন বলেন, দ্রুত রেল লাইন সচলের চেষ্টা চলছে। তবে আরও কিছু সময় লাগতে পারে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button