লিড নিউজ

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস আজ

১১ জুলাই, শনিবার, বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। দিবসটিতে এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘মহামারি কোভিড-১৯ কে প্রতিরোধ করি, নারী ও কিশোরীর সুস্বাস্থ্যের অধিকার নিশ্চিত করি’।

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রতি বছর বাংলাদেশও বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন করে আসছে। তবে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এ বছর বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষ্যে তেমন কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়নি। তবে অনলাইনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৭৪ লাখ। এর মধ্যে পুরুষ ৮ কোটি ৩৮ লাখ এবং নারী ৮ কোটি ৩৬ লাখ। দেশের মানুষের প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল বেড়ে হয়েছে ৭২ দশমিক ৬ বছর।

দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে উল্লেখ করেন, জনসংখ্যাকে পরিণত করতে হবে জনসম্পদে। টেকসই উন্নয়নে পরিকল্পিত ও দক্ষ জনসংখ্যার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে কোভিড-১৯ কে ভয় না করে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বিশেষ করে মহামারির এ সময় গর্ভবতী নারী সন্তান প্রসবসহ প্রসব পূর্ববর্তী ও প্রসব-পরবর্তী সেবা যাতে ঠিকমতো পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে উল্লেখ করেন, জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) এ বছর বিশ্বব্যাপী করোনা যুদ্ধের সম্মুখসারিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী নারীদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি দিয়েছে, সেইসঙ্গে সমগ্র পৃথিবীতে সরবরাহ শৃঙ্খল ভেঙে পড়ার কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ এবং লক-ডাউনের কারণে নারীদের অপারিশ্রমিক কর্মপরিধি বৃদ্ধি, মাতৃস্বাস্থ্যসেবার ব্যত্যয়সহ লিঙ্গভিত্তিক নির্যাতনের প্রকোপ বৃদ্ধির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার দূরদর্শী সিদ্ধান্তে সংবিধানে জনগণের পুষ্টির স্তর-উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতিসাধনকে রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক ও প্রাথমিক দায়িত্ব হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। জাতির পিতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর আমরা স্বাস্থ্যখাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধন করেছি।

প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য খাতে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং অর্জনগুলো উল্লেখ করে বাণীতে উল্লেখ করেন, বিশ্ব জুড়ে কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যেও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আওতাধীন ৩ হাজার ৩৬৪টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৩০ হাজার স্যাটেলাইট ক্লিনিক এবং ১৩ হাজার ৮১৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক যথাযথ সুরক্ষাসামগ্রী ব্যবহার করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সব ক্ষেত্রেই এখন নারীর অংশগ্রহণ বহুগুণ বেড়েছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button