বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনারকে গ্রেফতার করল মালয়েশিয়া পুলিশ

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির অভিবাসন পুলিশ।
মালয়েশিয়া প্রবাসী এক বাংলাদেশি সমকালক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, খায়রুজ্জামানকে বুধবার সকালে কুয়ালালামপুরের আমপাং এলাকায় তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই প্রবাসী বলেন, ‘মনে করা হচ্ছে তাকে দ্রুত মালয়েশিয়া থেকে ফেরত পাঠানো হবে।’
এম খায়রুজ্জামান ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে চার জাতীয় নেতা হত্যায় অভিযুক্ত ছিলেন। মালয়েশিয়ায় তিনি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছেন।
এদিকে গ্রেপ্তারের পর খায়রুজ্জামানের আইনজীবী অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারের ঘটনা সত্য। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
খায়রুজ্জামানের আইনজীবীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোনো বৈধ কারণ ছাড়াই খায়রুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি না দিলে আইনজীবী আদালতে হেবিয়াস কর্পাস দায়ের করবেন বলে জানা গেছে। হেবিয়াস কর্পাস একজন বন্দি বা বন্দিকে আদালতের সামনে আনার জন্য ব্যবহৃত হয় যে ব্যক্তির কারাদণ্ড বা আটক আইনানুগ কিনা।
মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর। ১৯৭৫ সালের জেল হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। পরে ওই মামলা থেকে তিনি খালাস পান।
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মালয়েশিয়ায় হাই কমিশনার নিযুক্ত হন।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাকে ঢাকায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়। ফিরে আসার পর খায়রুজ্জামান কুয়ালালামপুরে জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড পান এবং সেখানেই থেকে যান।