রাজধানীর ৫২ এলাকা লকডাউন
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে রাজধানী ঢাকার ৫২টি এলাকা লকডাউন করে দিয়েছে প্রশাসন। এর ফলে এসব এলাকায় কেউ ঢুকতেও পারবেন না এবং কেউ বের হতেও পারবেন না।
মারাত্মক ছোঁয়াচে রোগ কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ঠেকাতে যেসব এলাকায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাবে সেসব এলাকা লকডাউন করে দিতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৪১ জনের মধ্যে ২০ জনই ঢাকার বাসিন্দা। আইইডিসিআর এর এমন ঘোষণার পর মঙ্গলবার পুরান ঢাকা, মোহাম্মদপুর, আদাবর, বছিলা, বাড্ডা ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বিভিন্ন ভবন লকডাউন করে দেয় পুলিশ।
পুরান ঢাকায় খাজে দেওয়ান লেনে দুই ব্যক্তির করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ায় ওই এলাকার দুইশ ভবন লকডাউন করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ সূত্র জানায়, আজ পর্যন্ত যেসব এলাকা লকডাউন করা হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মহাখালীর আরজত পাড়ার একটি ভবন, বসুন্ধরা এলাকার অ্যাপোলো হাসপাতালসংলগ্ন এলাকা, বসুন্ধরা ডি ব্লকের রোড-৫, বুয়েট এলাকার একাংশ, ইস্কাটনের দিলু রোডের একাংশ, মিরপুরের টোলারবাগ, উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের একটি সড়ক এলাকা, কাজীপাড়ার একটি অংশ, সেন্ট্রাল রোডের কিছু অংশ, সোয়ারীঘাটের কিছু অংশ, মিরপুর-১০-এর ৭ নম্বর রোড, পল্টনের কিছু অংশ, আশকোনার কিছু অংশ, নয়াটোলার একাংশ, সেনপাড়ার একটি অংশ, মীর হাজিরবাগের একাংশ, নন্দীপাড়ার ব্রিজের পাশের এলাকা, মিরপুর সেকশন ১১-এর একটি সড়ক, লালবাগের খাজে দেওয়ান রোডের একটি, ধানমন্ডি-৬-এর একটি অংশ, উত্তর টোলারবাগ, মিরপুর-১৩ ডেসকো কোয়ার্টার, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী, পশ্চিম মানিকনগর, নারিন্দার কিছু এলাকা, গ্রিন লাইফ হাসপাতাল এলাকা, ইসলামপুরের একাংশ। এসব এলাকা পুলিশি পাহারায় থাকবে। দিনরাতে কাউকে চলাচল করতে দেওয়া হবে না। এলাকায় সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ রাখা হবে।
এসব এলাকা পুলিশি পাহারায় থাকবে। দিনরাতে কাউকে চলাচল করতে দেওয়া হবে না। এলাকায় সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ রাখা হবে। এসব এলাকা থেকে কেউ বাইরে যেতে চাইলে পুলিশের অনুমতি নিয়ে বের হতে হবে।