জাতীয়

বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ ৩৫ কোটি ছুঁই ছুঁই

করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ ৩৫ কোটি ছুঁই ছুঁই। এ পর্যন্ত গোটা বিশ্বে ৩৪ কোটি ৯৮ লাখ ২৩ হাজার ৬৭৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

তবে গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। গত একদিনে সারাবিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ২৮ লাখে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

প্রাণহানির তালিকায় এর পরই রয়েছে রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালি, মেক্সিকো, ব্রাজিল ও পোল্যান্ড। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৬ লাখ ১০ হাজার।

ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ হাজার ৩৫৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে আড়াই হাজার। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৬ লাখ ৯ হাজার ৬৮৪ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৮৯৩ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে সাড়ে ৭ লাখের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ কোটি ৯৭ লাখ ৭ হাজার ৫৬১ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৩২০ জন এবং মারা গেছেন ১৬৭ জন। মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৬৩ লাখ ৯০ হাজার ৮১৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ২৮ হাজার ৫১৪ জন মারা গেছেন।

অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ১২ হাজার ৩১৪ জন এবং মারা গেছেন ৮৪১ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৭ কোটি ১৭ লাখ ২৮ হাজার ৫৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৮ লাখ ৮৮ হাজার ৬২৩ জন মারা গেছেন।

অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৮১ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৫৭ হাজার ২১২ জন। এ ছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ১০ লাখ ৪৪ হাজার ৯৮৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৪৩৩ জনের।

এ ছাড়া গত একদিনে যুক্তরাজ্যে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬ হাজার ৮০৭ জন এবং মারা গেছেন ২৯৭ জন। মহামারির শুরু থেকে এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৫৭ লাখ ৮৪ হাজার ৪৮৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং এক লাখ ৫৩ হাজার ৭৮৭ জন মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৭১ হাজার ২৬৩ জন এবং মারা গেছেন ২৮৯ জন। একই সময়ে কলম্বিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ২৭ জন এবং মারা গেছেন ১৯৯ জন।

এ ছাড়া জার্মানিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫ হাজার ৯০৩ জন এবং মারা গেছেন ১০৪ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮৬ লাখ ৪১ হাজার ৮৬৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২৩ জন মারা গেছেন। একই সময়ের মধ্যে ইউক্রেনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৪৭৩ জন এবং মারা গেছেন ১৩৬ জন।

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৩২ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২ লাখ ২ হাজার ৪৬৬ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৩৯ লাখ ৬০ হাজার ২০৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ২২ হাজার ৯৭৯ জনের।
এদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৯২ লাখ ১২ হাজার জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৪২২ জন।

এ ছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় তুরস্কে ১৮৪ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ১১৪, পোল্যান্ডে ১৯৩, কানাডায় ১৩৩, আর্জেন্টিনায় ১৩৪ জন এবং ভিয়েতনামে ১৫৩ মারা গেছেন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মেক্সিকোতে মারা গেছেন ৩৩১ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত উত্তর আমেরিকার এ দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ২ হাজার ৭২১ জনের।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর পর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button