বৃহস্পতিবার ব্র্যাকের নগর উন্নয়ন কর্মসূচি দেখতে ঢাকার ভাষানটেক বস্তিতে একটি ভার্চুয়াল সফরে অংশ নিয়ে কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী কারিনা গোলড এই ঘোষণা দেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ব্র্যাক বলেছে, এই অনুদানের মাধ্যমে কানাডা একটি দীর্ঘমেয়াদী ত্রিপক্ষীয় অংশীদারত্বে ব্র্যাক এবং অস্ট্রেলিয়া সরকারের সঙ্গে যোগ দিল।
এই অনুদানের একটি নির্দিষ্ট অংশ অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং কোভিড-১৯ প্রতিরোধ কার্যক্রমের জন্য থাকবে বলেও ব্র্যাকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, কানাডার এই অনুদানের মাধ্যমে ব্র্যাক তাদের বহুমুখী সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, আইনি পরিষেবা, দক্ষতা উন্নয়ন এবং জীবিকা পরিষেবাকে দুর্গম অঞ্চলে সবচেয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে নারী ও কন্যা শিশুদের মাঝে বিস্তৃত করতে চায়।
“এই সহায়তা মানবাধিকার, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার, পরিবার পরিকল্পনা, পুষ্টি, নারী ও শিশুদের প্রতি জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার অবসানে ব্র্যাকের কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করবে।”
ভার্চুয়াল সফরে কারিনা গোলড ব্র্যাকের দক্ষতা প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষণার্থী এবং অন্তঃসত্ত্বা নারীদের সহায়তা দেওয়া স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ব্র্যাক নেতৃত্বাধীন কোভিড-১৯ প্রতিরোধ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সহায়তায় কানাডার অবস্থান তুলে ধরে কারিনা গোলড বলেন, “মহামারীর ফলে বিশ্বে সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর উপর যে প্রভাব পড়েছে, সে বিষয়ে আমাদের স্থানীয় এবং অভিজ্ঞ অংশীদাররা সম্পূর্ণভাবে অবগত। দুর্গম অঞ্চলের জনগোষ্ঠী, বিশেষত প্রান্তিক নারী এবং কন্যা শিশুদের সহায়তায় আমাদেরকে একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে।
“বাংলাদেশে মহামারীর প্রভাব মোকাবেলায় এবং যত দ্রুত সম্ভব সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সহায়তা এবং পুনরুদ্ধারে কানাডা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, “এই মহামারি মোকাবেলা এবং বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধির গতি ধরে রাখতে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতা ও সম্পদের প্রয়োজন। তাদের (কানাডা) অংশীদারত্ব আমাদের প্রবৃদ্ধির গতি ধরে রাখতে এবং মহামারি মোকাবেলা প্রক্রিয়ায় আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে সহায়তা করবে।”