লঞ্চে হুড়োহুড়ি করে উঠতে গিয়ে ৩০ যাত্রী আহত

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে হুড়োহুড়ি করে লঞ্চে উঠতে গিয়ে অন্তত ৩০ যাত্রী আহত হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে ঢাকাগামী এমভি সোনার তরী-২ ও ইমাম হাসান লঞ্চে উঠতে গিয়ে যাত্রীরা আহত হন। আহতদের মধ্যে অনেকেই চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
গার্মেন্টসসহ রপ্তানীমুখী শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার সুবিধার্থে ১২ ঘণ্টার জন্য লঞ্চ চলাচল শুরু হয়। খবর পেয়েই রোববার ভোর থেকে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যাত্রীদের চাপ বাড়তে শুরু করে। বেলা ১১ টার পর কোনো লঞ্চ না থাকায় চাঁদপুরসহ পাশ্ববর্তী বিভিন্ন জেলার মানুষ লঞ্চঘাটে জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে যাত্রীর চাপে ভেস্তে যায় স্বাস্থ্যবিধি। অপরদিকে যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খায় বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ পুলিশ সদস্যরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে বাঁধভাঙা মানুষের ঢল নামে।
এদিকে সিডিউলের বাইরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সোনার তরী-২ ও ইমাম হাসান লঞ্চ চাঁদপুর ঘাটে আসা মাত্রই যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে লঞ্চে উঠতে থাকে। এ সময় যাত্রীদের পায়ে পৃষ্ঠ হয়ে ও লঞ্চের ধাক্কায় ৩০ জন যাত্রী আহত হয়। এর মধ্যে দুই নারী ও একজন যুবক গুরুতর আহত হলে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সদর হাসনপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজাহিদুল ইসলাম দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘সময় কম থাকায় অনেক লঞ্চ ঘাটে আসতে পারেনি। যার কারণে অল্প কিছু লঞ্চ চাঁদপুর-ঢাকা যাতায়াত করেছে। যাত্রীর চাপ থাকায় নির্ধারিত সময়ের আগেই ঘাট থেকে লঞ্চ ছেড়ে গেছে। এতে করে দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা আটকা পড়ে।’
ওসি আরও বলেন, ‘যে পরিমাণ যাত্রী ছিল আরও ৫-৬টি লঞ্চ থাকলেও সামাল দেওয়া সম্ভব হতো না। ঢাকার দুটি লঞ্চ ঘাটে আসলে যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে উঠা শুরু করে। যার কারণে কিছু মানুষ আহত হয়েছে।’
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক কায়সারুল ইসলাম বলেন, ‘চাঁদপুরে লঞ্চগুলো যাত্রীর চাপে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হয়েছে। যার কারণে আমরা কিছু সময় লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখি। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে যাত্রীর চাপ বাড়তে থাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলোতে চাঁদপুর ঘাটের যাত্রী নিতে দেওয়া হয়। ঘাটে লঞ্চ আসলে কার আগে কে যাবে, পাল্লা দিতে গিয়ে মানুষ আহত হয়।’