জাতীয়

শূন্যকোটায় হজে যেতে আবেদন ১০ মে’র মধ্যে

আগে নিবন্ধন সম্পন্ন করলেও ৬৫ বছরের বেশি বয়সীরা এবার হজে যেতে পারবেন না। তবে বয়সের সীমা পেরোনো এমন কোনো নিবন্ধিত ব্যক্তির পরিবারের অন্য সদস্য (যার বয়স ৬৫ বছরের কম) তার পরিবর্তে হজে যেতে পারবেন। এ জন্য প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। এ অবেদন আগামী ১০ মে’র মধ্যে করতে হবে।

এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৯ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৮৫৬ জন হজে যেতে পারবেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, হজযাত্রী ও হজ সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, রাজকীয় সৌদি সরকারের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ১৪৪৩ হিজরি (২০২২ সাল) হজে ৬৫ বছরের (পাসপোর্ট অনুযায়ী যাদের জন্ম ১৯৫৭ সালের ১ জুলাই এবং এর পর) কম বয়সী ব্যক্তিই কেবল হজ পালনের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। ফলে ১৯৫৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে যাদের জন্ম তারা এ বছর হজে যেতে পারবেন না। তবে যেসব হজযাত্রী ২০২০ সনের হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন এবং বয়স এরই মধ্যে ৬৫ বছর অতিক্রম করছে, তার পরিবর্তে তার পরিবারের একজন সদস্য (৬৫ বছরের কম বয়সী) এ শূন্যকোটায় হজে যাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।

এতে আরও বলা হয়, এমন শূন্যকোটায় হজে যেতে আগ্রহী ব্যক্তিকে বেসরকারি এজেন্সির ক্ষেত্রে নিজ নিজ এজেন্সির মাধ্যমে এবং সরকারি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সরকারি ব্যবস্থাপনায় দ্রুত প্রাক-নিবন্ধন গ্রহণ করে আগামী ১০ মে’র মধ্যে প্রাক-নিবন্ধনের ট্র্যাকিং নম্বর এবং যার পরিবর্তে হজে যেতে চান তার ট্র্যাকিং নম্বর স্লিপসহ ঢাকার আশকোনায় হজ অফিসের পরিচালকের কাছে সরাসরি বা [email protected] ই-মেইলের মাধ্যমে লিখিতভাবে আবেদন করতে হবে। ওই সময়ের পর আর কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।

উল্লেখ্য,করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর বিদেশিদের হজে অংশগ্রহণ বন্ধ ছিল। গত এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় সৌদি আরব। একই সঙ্গে এ বছর ১০ লাখ হজযাত্রী সৌদিতে প্রবেশের অনুমতি পাবেন বলে জানানো হয়।

সৌদি আরবের প্রকাশিত হজ কোটা অনুযায়ী, বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া থেকে এ বছর সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ হজ করার সুযোগ পাবেন। ইন্দোনেশিয়ার ১ লাখ ৫১ জন হজে অংশ নিতে পারবেন। এরপরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮১ হাজার ১৩২ জন হজ করতে পারবেন পাকিস্তান থেকে। তৃতীয় স্থানে থাকা ভারতের ৭৯ হাজার ২৩৭ জন হজের সুযোগ পাবেন। এছাড়া চতুর্থ স্থানে থাকা বাংলাদেশের ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজ করতে পারবেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button