জাতীয়
‘সুরক্ষা’ সার্ভারে ভোগান্তি
রাজধানীর মহাখালীর কাঁচাবাজারের পাশে অর্ধেক শাটার খুলে একটি কম্পিউটার দোকানে কাজ করছিলেন আল আমিন। খুবই পরিশ্রান্ত ও বিরক্ত দেখা দেখাচ্ছিল তাকে। কারণ হিসেবে তিনি জানান, লকডাউনে দোকান তেমন খুলতে পারেননি। বুধবার দোকান খোলেন। লোকজন টিকা গ্রহণে নিবন্ধন করতে আসেন তার দোকানে। কিন্তু সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত একটি ফরমও পূরণ করতে পারেননি। সুরক্ষা অ্যাপের সার্ভার বারবার ডাউন হওয়ায় অন্তত ২৫ জন গ্রাহক ফিরে গেছেন।
বুধবার দিনভর রাজধানীর বিভিন্ন কম্পিউটার দোকানে এমন চিত্র দেখা গেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে ১ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সব নাগরিককেই পর্যায়ক্রমে টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবেÑ সরকারের এমন ঘোষণায় টিকাগ্রহণে আগ্রহ বাড়ে মানুষের। তবে অনেকেই নিবন্ধন করতে পারেননি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দুপুরে রাজধানীর মৌচাক মার্কেটের আট-দশটি কম্পিউটার দোকান ঘুরে দেখা যায়, কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে গ্রাহকরা অনেক কষ্টে মার্কেটে এলেও টিকার নিবন্ধন করতে না পেরে ফিরে যান। বেসরকারি চাকরিজীবী সুস্মিতা ইসলাম বলেন, কয়েকবার চেষ্টা করেও নিবন্ধন করতে পারিনি। সার্ভার বারবার ডাউন হচ্ছে। দোকানদার সন্ধ্যায় আসতে বলেছেন।
কালাম কম্পিউটার অ্যান্ড স্টেশনারিজের মালিক রাহাত হোসেন বলেন, দিনের বেলায় সবাই টিকার নিবন্ধনের চেষ্টা করায় চাপ বেশি। তাই ডাউন হচ্ছে। আসলে ওই সময়টাও ‘পিক আওয়ার’। চাপ কমে গেলে ঠিক হয়ে যাবে হয়তো।
রাজধানীর আজিজ মার্কেটের কয়েকটি কম্পিউটার দোকানে গিয়েও একই চিত্র দেখা গেছে। গ্রাহকদের পরে আসতে বলা হয়েছে। কম্পিউটার দোকানিরা বলছেন, তারা অনেকদিন পর দোকানের ঝাঁপি খোলেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এমনিতেই প্রিন্ট, ফটোকপি কিংবা অনলাইনের কোনো কাজকর্ম নেই। টিকা নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর গ্রাহকও ছিল আশানুরূপ।
নিবন্ধন করতে আগ্রহী খান মোহাম্মদ নাফি নামে এক যুবক বলেন, টিকা সবারই নেওয়া উচিত। সুরক্ষিত থাকতে টিকা ও মাস্কের বিকল্প নেই। আমাদের পরিবারের সবাই টিকা নিয়েছে। আমিও নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করব আজ।
এদিকে করোনার টিকা নিতে অনেকের মধ্যেই আগ্রহ দেখা গেছে। বিশেষ করে করোনার ডেলটা ‘ভ্যারিয়েন্ট’ ছড়িয়ে পড়ার পর টিকাগ্রহণে তৎপরতা বাড়ছে। দুয়েকদিনের মধ্যে সরকারও গণটিকা কর্মসূচি জোরদার করবে।