জাতীয়

খুনি মোসলেহউদ্দিনকে বাংলাদেশে হস্তান্তর: ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি রিসালদার (বরখাস্ত) মোসলেহউদ্দিনকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। ভারতের দুটি প্রভাবশালী গণমাধ্যম এমন খবর দিয়েছে।

যদিও এ গ্রেফতার নিয়ে কোনো তথ্য জানা নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকার পুলিশ ও বিজিবির একাধিক কর্মকর্তা। এ বিষয়ে ইন্টারপোলের বাংলাদেশ শাখা অফিসের প্রধান ও পুলিশের সহকারী উপমহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে তারা কিছু জানেন না।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়, সোমবার সন্ধ্যায় একটি স্থলসীমান্ত দিয়ে মোসলেহউদ্দিনকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

এর আগে বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনি আবদুল মাজেদকে ৭ এপ্রিল গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায় বাংলাদেশের পুলিশ। আদালতে দেয়া পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়, তাকে রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়।

তবে ভারতীয় গণমাধ্যমে জানিয়েছে, সে দেশের গোয়েন্দারাই আবদুল মাজেদকে আটক করে বাংলাদেশের হাতে তুলে দিয়েছে।

এর পর ১২ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, মোসলেহউদ্দিনকে গ্রেফতার করতে ভারতে শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অতি গোপনীয় অভিযান চালিয়েছে। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের পুলিশও এ ব্যাপারে অবগত ছিল না। এ ছাড়া খুনিকে শনাক্ত করতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে বাংলাদেশ।

এর আগে খুনি মোসলেহউদ্দিন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আত্মগোপনে রয়েছে বলে জানিয়েছে কলকাতার প্রভাবশালী গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা। সোমবার এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পত্রিকাটি।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি গ্রেফতার ও ফাঁসি কার্যকর হওয়া বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ দীর্ঘদিন কলকাতায় ছিলেন। তার ফাঁসি কার্যকরের আগে তার কাছ থেকে বাংলাদেশের গোয়েন্দারা মোসলেহউদ্দিনের অবস্থান জেনে নেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভারতের গোয়েন্দাদের সহযোগিতায় মোসলেহউদ্দিনকে উত্তর চব্বিশ পরগনা থেকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। তবে অন্য একটি সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, মাজেদ আটক হওয়া মাত্রই নিজের মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি।

ভারতের গোয়েন্দাদের সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার জানায়, লকডাউনের সময় ভারত থেকে মোসলেহউদ্দিনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ায় সমস্যা হতে পারে বলে ঢাকা বিষয়টি ভারতের গোয়েন্দাদের জানায়।

ভারতীয় গোয়েন্দারা এই খুনিকে কার্যত তাড়িয়ে সীমান্তের কোনো একটি অরক্ষিত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। তবে সরকারিভাবে কিছুই স্বীকার করা হয়নি।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button