জাতীয়

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাড়ি চলছে থেমে থেমে

করোনাকালীন ঈদ যাত্রায় যানজট থেকে মুক্তি নেই ঘরমুখো মানুষের। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

শুক্রবার ভোর থেকে মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার দেওহাটা থেকে গোড়াই ক্যাডেট কলেজ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তায় এ অবস্থা চলছে। এতে ঢাকামুখী যানবাহন মাঝেমধ্যে একেবারেই থেমে যাচ্ছে। আর উত্তরাঞ্চলমুখী যানবাহন চলছে খুবই ধীরগতিতে।

সকাল সাড়ে ৭টায় মির্জাপুর বাসস্ট্যান্ড ও বাওয়ার কুমারজানী এলাকায় দেখা গেছে, উত্তরাঞ্চলমুখী যানবাহনের প্রচুর ভিড়। মানুষ বাস ছাড়াও ট্রাক, পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন যানে গন্তব্যে যাচ্ছে। মোটরসাইকেলের সংখ্যাও অনেক। পৌনে ৮টার দিকে মহাসড়কের দেওহাটায় দেখা যায়, ঢাকামুখী যানবাহন একেবারেই থেমে রয়েছে।

সকাল ৮টার দিকে ধেরুয়া উড়ালসেতুর ওপরে কথা হয় নীলফামারীর জলডাঙ্গা থেকে ঢাকাগামী নাবিল এন্টারপ্রাইজের চালক মো. সেকান্দার মিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রওনা হয়েছেন। শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে ঢাকা পৌঁছানোর কথা থাকলেও তিনি ধেরুয়ায় পৌনে এক ঘণ্টা ধরে বসে আছেন। স্বাভাবিক সময়ে ধেরুয়া থেকে ঢাকা যেতে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় লাগে।

তিনি বলেন, “এলেঙ্গার পর বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে উত্তরে যেতে পুরা রাস্তায় জ্যাম। খুবই খারাপ অবস্থা।”

শুক্রবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে ধেরুয়া উড়ালসেতুর পূর্ব পাশে দেখা যায়, ঢাকামুখী যান চলাচল একেবারেই বন্ধ রেখেছে পুলিশ। কর্তব্যরত একজন পুলিশ সদস্য জানালেন, মহাসড়কজুড়েই যানবাহনের চাপ। ঈদে মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে উত্তরাঞ্চলমুখী যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঢাকার দিকে যান চলাচল কমপক্ষে এক ঘণ্টা বন্ধ রাখা হবে।

কক্সবাজার থেকে সিরাজগঞ্জগামী এসআই এন্টারপ্রাইজের চালক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় কক্সবাজার থেকে বাস ছেড়েছেন তিনি। ভোরেই সিরাজগঞ্জে পৌঁছার কথা ছিল। কিন্তু সকাল ৯টায় সোহাগপুরে পৌঁছেছেন। মহাসড়কজুড়েই যানজট ঠেলে এসেছেন।

এদিকে মহাসড়কের গোড়াই এলাকায় দেখা যায়, নির্মাণাধীন আন্ডারপাসের কারণে ওই এলাকায় যানবাহনের খুবই ধীরগতি। তবে পুলিশ সেখানে ব্যাপক তৎপরতা দেখাচ্ছে। মহাসড়কের কুর্ণী, কদিমধল্যা ও জামুর্কী আন্ডারপাস এলাকায় যানবাহনের খুব ধীরগতি রয়েছে। এর মধ্যে নির্মাণাধীন জামুর্কী আন্ডারপাস এলাকায় থেমে থেমে যানজট লাগছে।

হাইওয়ে পুলিশের সহকারী সুপার (এএসপি) জাহিদুল ইসলাম বলেন, “করোনা পরিস্থিতিতেও বিপুল পরিমাণ মানুষ ঈদযাত্রা করছে। যাত্রা যাতে নির্বিঘ্ন হয়, সে জন্য পুলিশ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে। এর মধ্যে যত্রতত্র যানবাহন পার্কিং করে যাত্রী ওঠানামা করতে দেওয়া হচ্ছে না। ঢাকামুখী যানবাহন কিছুটা কম থাকায় কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে মানুষ ভালোভাবে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আনন্দ উপভোগ করতে পারে।”

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button