রাজনীতি

বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইলেন আলাল

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে দেওয়া কটূক্তিপূর্ণ বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।  মঙ্গলবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি ক্ষমা চান।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বর্তমানে ভারতের একটি হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।  তার কিডনিতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।  তার একটি বক্তব্য নিয়ে সম্প্রতি প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।  এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলা হয়েছে।  শরীয়তপুরে একটি মানহানির মামলায় আলালের বিরুদ্ধে সমনও জারি করা হয়েছে।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, আমি প্রিয় স্বদেশ ভূমি থেকে হাজার মাইল দূরে জীবন সংকটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছি।  আমার শরীরে একটি গুরুতর সার্জারি করা হয়েছে।  সংগত কারণেই সব দুঃসংবাদ থেকে পরিবার আমাকে দূরে রেখেছে।  তারপরও বিলম্বে আমি জেনেছি, অতীতে আমার একটি বক্তব্য বেশ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

দীর্ঘ ৪৯ বছরের রাজনৈতিক জীবনে জ্ঞাতসারে কিংবা ইচ্ছাকৃত কারো সম্মান, অনুভূতি, বিশ্বাসে আঘাত করিনি।  তবুও মানুষ হিসেবে আমি তো ভুলের ঊর্ধ্বে নই।

তাই বলছি আমার কোনো অসতর্ক মুহূর্তের কথা কিংবা বক্তব্যে যারা কষ্ট পেয়েছেন, আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন অনুভুতিতে, তাদের সবার কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।  একই সঙ্গে উক্ত বক্তব্য আমি প্রত্যাহার করছি।  ভালো থাকুক, আমার প্রিয় স্বদেশ, শান্তিপূর্ণ থাকুক বাংলাদেশ।

খুলনায় সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ১ ডিসেম্বর জাতীয়তাবাদী নাগরিক কমিটি আয়োজিত বাংলাদেশ ও শহিদ জিয়াউর রহমান শীর্ষক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করেন। একই সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন।  যা বিএনপির ইউটিউব চ্যানেলসহ বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে প্রচার হচ্ছে। এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।

আর শরীয়তপুরে দায়ের হওয়া মানহানি মামলার বিবরণে বলা হয়, ফেসবুকের একটি ভিডিওতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন। ওই বক্তব্যটি দেশের ও দেশের জনগণের জন্য মানহানিকর।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button