পরীমনির হাতে ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’!
কারাগার থেকে মুক্তির পর আলোচিত নায়িকা পরীমনি হাত উঁচিয়ে উপস্থিত জনতাকে একটি লেখা প্রদর্শন করেন। যেখানে লেখা ছিল ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’! নেটিজেনদের প্রশ্ন, কারাগারে পরীমনি কোথায় পেলেন মেহেদি, আর মেহেদি দিয়ে সেই লেখার অর্থই বা কী?
এছাড়া এদিন তাকে দেখা যায় নতুন লুকে। গায়ে সাদা রঙের টি শার্ট, চোখে সানগ্লাস, ঠোঁটে লাল রঙের লিপিস্টিক আর সাদা কাপড়ে ঢাকা মাথায় ভিন্ন লুকে গাড়ির ভিতর থেকে উঁকি দেন হাসিমাখা পরীমনি।
কারাগারের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, কারা ক্যান্টিনে খাবারের পাশাপাশি নারীদের সাজসজ্জার বিভিন্ন ধরনের উপকরণ বিক্রি হয়। শুধু পরীমনিই নয়, অনেক নারী বন্দি ক্যান্টিন থেকে মেহেদি কিনে হাতে পরতে পারেন। পরীমনিও সেখান থেকে মেহেদি কিনে হাতে পরেছেন।
এদিন গায়ে সাদা রঙের টি শার্ট, চোখে সানগ্লাস, ঠোঁটে লাল রঙের লিপিস্টিক আর সাদা কাপড়ে ঢাকা মাথায় ভিন্ন লুকে গাড়ির ভিতর থেকে উঁকি দেন সেই চিরচেনা হাসিমাখা পরীমনি।
গাড়ি থেকে একটু বের হয়ে হাত মেলালেন উপস্থিত কয়েকজন সঙ্গে। হাত নেড়ে শুভেচ্ছাও জানালেন উপস্থিত দর্শক-ভক্তদের। এমন সুযোগে সেলফি তোলার মুহূর্তটিও মিস করেননি দর্শক-ভক্তরা।
দীর্ঘ ১৯ দিনপর কারামুক্ত হন ঢাকায় সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
এদিকে পরীমনির মুক্ত হবে এমন খবর পেয়ে সকাল থেকেই কারাফটকে হাজির হন শত শত দর্শক-ভক্ত। আরও উপস্থিত হন পরীমনির খালু মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ও তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভীসহ পরিবারের একাধিক সদস্য। এ ছাড়া পরীমনির আইনজীবী প্যানেলের কয়েকজন সদস্যও তাদের সঙ্গে ছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) জামিন পান তিনি। ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় পুলিশ রিপোর্ট দেওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে জামিন দেওয়া হয়।
শুধু জামিনের জন্য এর আগে তিনবার আবেদন করেছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। রাষ্ট্রপক্ষের জোরালো আপত্তির মুখে কোনোবারই সাড়া পাননি। উল্টো তিন দফায় ৭ দিন রিমান্ডে নেওয়া হয় পরীকে।
বারবার জামিন আবেদনের শুনানি পেছানোয় বিড়ম্বনায় পড়েন পরীমনি। আদালতে গণমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন তিনি। তৃতীয় দফায় রিমান্ড শুনানি শেষে নিয়ে যাওয়ার সময় টানাহেঁচড়ায় পড়েও যান পরী।
এরপর চতুর্থ দফায় জজ আদালতে জামিন চান পরীমনি। কিন্তু শুনানির তারিখ দেরিতে দেওয়ায় আবারও ঝুলে যায় পুরো প্রক্রিয়া। অবশেষে উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপে মঙ্গলবার শুনানি হয়। ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় পুলিশ রিপোর্ট দেওয়ার আগ পর্যন্ত জামিন দেন আদালত।