সারাদেশ

ইমামের ঘরে ছেলেসহ তিন শিশু-কিশোরের লাশ

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদরের পূর্ব কলাদী জামে মসজিদে ইমামের ঘর থেকে তার ছেলেসহ তিন শিশু-কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজ চলাকালে রহস্যজনকভাবে তাদের মৃত্যু হয়। পুলিশ মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

মারা যাওয়া ওই তিন শিশু–কিশোর হলো- আবদুল্লাহ আল নোমান (৮), মো. ইব্রাহিম (১২) ও মো. রিফাত (১৫)। এর মধ্যে নোমান কলাদী জামে মসজিদে ইমাম মাওলানা জামালউদ্দিনের ছেলে।

ইব্রাহিম একই উপজেলার নাটশাল গ্রামের কামাল হোসেন পাটোয়ারীর ছেলে। রিফাতের বাবার নাম জসিম উদ্দিন। তাদের বাড়ি উপজেলার নলুয়া গ্রামে।

ইব্রাহিম ও রিফাত ভাঙ্গারপাড় জামিয়া ফোরকানিয়া ফজলুর রহমান এবতেদায়ী মাদ্রাসার তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। নোমানের সঙ্গে তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল।

কলাদী জামে মসজিদে ইমাম মো. জামালউদ্দিন  জানান, নোমানকে ঘরে রেখে নামাজ পড়াতে মসজিদে যান তিনি। তার আগে ইব্রাহিম ও রিফাত তার ছেলের সঙ্গে দেখা করতে আসে। নামাজের পর ঘরে গিয়ে তিনি দরজা বন্ধ দেখতে পান তিনি। ডাকাডাকির পরও কেউ না খুললে এলাকাবাসীর সহায়তায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন তারা। এ সময় শোবার খাটের উপর নোমান, ইব্রাহিম ও রিফাতের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তারা।

পরে মতলব দক্ষিণ থানায় খবর দেয় এলাকাবাসী। পুলিশ এসে তিনজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। পরে লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ।

ইমাম মো. জামাল উদ্দিন আরও জানান, কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা তিনি বলতে পারছেন না। ঘটনাটি তদন্ত করে এর প্রকৃত রহস্য বের করার জন্য পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বপন কুমার আইচ বলেন, ‘তিন শিশু-কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি। লাশগুলো মর্গে আছে। কী কারণে এবং কেন ওই তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’

ওসি আরও বলেন, ‘নোমান, ইব্রাহিম ও রিফাত নামে ওই তিন শিশু-কিশোরের দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ণ নেই। তবে তাদের মুখ থেকে লালা বের হতে দেখা গেছে। এটি কোন ধরনের মৃত্যু তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’ ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে জানান তিনি।

 

 

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button