কিডনি রোগীর ভেষজ খাদ্য পথ্য
পৃথিবীতে মানবজাতি যেসব প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে, তার মধ্যে কিডনি রোগ অন্যতম। বাংলাদেশে প্রাণঘাতী রোগের তালিকায় কিডনি রোগের অবস্থান চতুর্থ। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ৪০-৮০ লাখ মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত এবং প্রতিবছর ৩০-৪০ হাজার মানুষ এ রোগে মারা যাচ্ছে।
নতুন করে ৮-১০ লাখ মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই রোগটি থেকে রক্ষার উপায় খোঁজা জরুরি। কিডনি রোগ এমন মারাত্মক রোগ, যা কোনো ধরনের লক্ষণ বা উপসর্গ ছাড়া ক্রমেই বিস্তৃত হয়। এটি একটি নীরব ঘাতক। সুস্থ থাকতে তাই দৈনন্দিন খাদ্য পথ্যে মনোযোগী হতে হবে। কারণ খাদ্য পথ্য নিয়ন্ত্রণ করে খেলে কিডনি রোগী অনেক দিন ভালোভাবে জীবনযাপন করতে পারে।
এসব পথ্যের ভেতর রয়েছে প্রোটিন বা আমিষ জাতীয় খাদ্য, লবণ এবং পটাশিয়াম। এ ছাড়াও জলীয় পদার্থ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এসব উপাদান দেহে কম বা বেশি দুটোই ক্ষতিকর। এ জন্য প্রতিদিন অন্তত ২ লিটার বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রমের ক্ষেত্রে অধিক পানি পান করা প্রয়োজন।
দানা বা বীজ জাতীয় খাদ্য, যেমন-ব্রেড, নুডুলস, বাদাম ইত্যাদি খেতে হবে। সপ্তাহে অন্তত একটি কচি ডাবের পানি পান করুন। প্রতিদিন অন্তত চারটি থানকুনি পাতা খেতে হবে। শসা, তরমুজ, লাউ, বাঙ্গি, কমলালেবু, লেবু, মাল্টা, ডালিম, বীট, গাজর, আখের রস, বার্লি, পিঁয়াজ, সজনে ইত্যাদি পরিমাণ মতো খেতে হবে।
তবে রোগীকে চকোলেট, চকোলেট দুধ, পনির, গরুর মাংস, খাসির মাংস, মুরগির মাংস, সস, পিচস, ব্রকলি, বাদাম, মাশরুম, মিষ্টিকুমড়া, পালংশাক, টমেটো, কলা, খেজুর ও আচার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।