নীলফামারীতে ধাইজানে তীব্র ভাঙ্গন, নদী খননে পাউবো’র বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ এবং উজানের পাহাড়ী ঢলে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত ধাইজান নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এতে করে ওইসব এলাকা বিলিনের আশংকায় প্রায় ৩০০ পরিবার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। পানি উন্নয়ন উন্নয়ন বোর্ড নদী খননের গতিপথ পরিবর্তন করাতেই তাদের ভাঙ্গনের কবলে পড়তে হয়েছে বলে দাবি জনপ্রতিনিধিসহ গ্রামবাসীর। এছাড়া তারা আরও অভিযোগ করেন, লিখিতভাবে জানানোর পরও এখন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের ভাঙ্গনরোধে নেই কোন কার্যকর পদক্ষেপ ।
গতকাল সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার নদীর গা ঘেঁষা তেলিপাড়া ও যুগিপাড়ায় ১৫ থেকে ২০ কেশবা ময়দানপাড়ায় ২০ থেকে ২৫ এবং চাদখনার সরোঞ্জাবাড়ি ও সরোভরসা গ্রামের ২৫ থেকে ৩০ ফুট নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। আর মাত্র ৩ থেকে ৫ ফুট ভাঙলেই উল্লেখসংখ্যক পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে হারিয়ে যাওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।এতে করে আতঙ্কে দিন কাটছ লোকজনের। গ্রামবাসী রাত জেগে তাদের বাড়িঘর পাহারা দিচ্ছে। ইতোমধ্যে একমাত্র সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ায় গ্রামের সাথে শহরের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সরোভাসা গ্রামের আতিকুল বলেন,আমরা প্রতিটি মুহুর্ত আতঙ্কের মধ্যে আছি। ঘর-বাড়ি তলিয়ে গেলে নি:স্ব হয়ে যাব। পূর্বে কয়েকবার ভাঙ্গনের পর এই জায়গায় এসেছি। এবার বাড়িঘর তলিয়ে গেলে মাথা গোজার আর ঠাঁই থাকবে না। সরোঞ্জাবাড়ি গ্রামের আমিনা, রেজওয়ান, আকাশসহ গ্রামবাসীর অনেকেই অভিযোগ করে বলেন,স্থায়ীভাবে নদীর পাড় বাঁধতে উপজেলা প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম আনিস বলেন, নদী খননে গতিপথ পরিবর্তন করাতেই এই অবস্থার সৃস্টি হয়েছে। আমরা পানি উন্নয়নবোর্ড কর্মকর্তাদের বলেছিলাম এভাবে নদী খনন করলে ভাঙ্গন আটকানো যাবে না। কিন্তু তারা কিছুতেই আমাদের কথা আমলে নেননি। তিনি নদী ভাঙ্গনের স্থায়ী সমধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, জেলা প্রসশক মহোদয়সহ আমরা নদীভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।