ময়মনসিংহ বিভাগসারাদেশ

ধোবাউড়ায় কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা বঞ্চিত সাধারন মানুষ

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যান সহকারীদের দায়িত্বহীনতায় কাগজ-কলমে’ই চলছে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে নির্মিত ২৪টি কমিউনিটি ক্লিনিকের চিকিৎসা সেবা। স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যান সহকারীরা দিনের পর দিন অনুপস্থিত থাকলেও, কাগজ-কলমে উপস্থিত রয়েছেন প্রতিদিন। সরকারি ছুটি ব্যতিত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ক্লিনিকে উপস্থিত থাকার নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে ক্লিনিক পরিচালনা করছেন দায়িত্বরত কর্মচারীরা। রোগীরা কমিউনিটি ক্লিনিকের চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হচ্ছে। তারা বাধ্য হয়ে চিকিৎসার জন্য গ্রামের হাতুরে ডাক্তারদের কাছে যাচ্ছে। ১৯৯৮সালে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম শুরু হয়ে ২০০১ সালে জোট সরকারের আমলে বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে আরসিএইচসিআইবি শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো পুনরায় উজ্জীবিত করা হয়। তখন সরকারি বেতনে তিন মাসের প্রশিক্ষণে প্রতি ক্লিনিকে তিনজন করে নিয়োগ দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে বর্তমানে এর কার্যক্রম শুধু কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ। এনিয়ে সরেজমিনে অনুসন্ধান করে জানা যায়, উপজেলার ২৪টি কমিউনিটি ক্লিনিকের অধিকাংশগুলোতে হেল্থ প্রোপাইটার (সিএইচসিপি) ও দায়িত্বরত চিকিৎসক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়মিত বসেন না। কেউ সপ্তাহে একদিন, কেউ মাসে একদিন উপস্থিত হয়েই উত্তোলন করছেন পুরো মাসের বেতন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্লিনিকে ওষুধ পৌঁছালেও, সেবা পাচ্ছে না জনসাধারণ। নিয়মানুযায়ী সপ্তাহে একদিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত একজন মেডিকেল অফিসার ক্লিনিকে গিয়ে রোগীদের সেবা দেওয়ার কথা রয়েছে। দায়িত্বহীনতার অভাবে যাচ্ছেন না ডাক্তার। অপরদিকে বিতরনের জন্য দেওয়া ঔষধ বিক্রি করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে কারো কারো বিরুদ্ধে। এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু হাসান শাহীন বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরতদের দায়িত্বহীনতার বিষয়ে মনিটরিং চলছে এবং ইতিমধ্যে দুইজনকে শোকজ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সঠিক প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button