খুলনা বিভাগসারাদেশ

ভাঙ্গায় গৃহবধু চম্পারানী হত্যার বিচার দাবীতে মানববন্ধন

ভাঙ্গা(ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নাছিরাবাদ ইউনিয়নের দুয়াইর গ্রামের মনোরঞ্জন দাসের মেয়ে চম্পা রানী কর্মকার(২২) কে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অত্যাচারে হত্যার ঘটনায় বিচার দাবী করেছেন তার পরিবার ও এলাকাবাসী। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে চম্পার পরিবার ও এলাকাবাসী। মঙ্গলবার বিকালে এলাকাবাসীর আয়োজনে উপজেলার নাছিরাবাদ ইউনিয়নের ভাঙ্গা-সদরপুর সড়কের দরগা বাজার নামক স্থানে এ কর্মসূচী পালিত হয়। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে হত্যাকান্ডের অভিযুক্ত পাষন্ড স্বামী অনুপ কর্মকারসহ জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানান। মানববন্ধনে নিহতের বাবা মনোরঞ্জন দাস ও মা দুর্গারানী দাস কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারী সদরপুর উপজেলার বাইশরশি গ্রামে চম্পা রানীকে পাষন্ড স্বামী ও শাশুড়ীসহ মিলে হত্যা করে। কিন্ত রহস্যজনক কারনে মামলাটির বিচার হয়নি। মামলাটি কার্যক্রম না থাকায় নিহতের পরিবার হতাশ হয়ে পড়েন।তারা অবিলম্বে জড়িতদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানান। এ সময় বক্তব্য রাখেন নিহতের পিতা মনোরঞ্জন দাস,বাজার বনিক সমিতির সভাপতি হাজী আবুল কালাম আজাদ,স্থানীয় মিজান রেজা মিঠু,মহসিন মাতুব্বর,ওদুদ সর্দার,রায়হান খান প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে,ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার দুয়াইর গ্রামের চম্পারানীকে পারিবারিকভাবে বিয়ে দিয়েছিলেন এলাকার বাইশরশি গ্রামের অনুপ কর্মকারের সাথে। কিন্ত বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই নেশাগ্রস্থ স্বামী ও তার পরিবার যৌতুকের জন্য তার উপর চালায় অমানসিক নির্যাতন। এক পর্যায়ে চম্পাবতী ফিরে এলো পিতার বাড়িতে। তবে জীবিত নয়,লাশ হয়ে। গত ৮ জানুয়ারী-২০২০ইং স্বামী অনুপ কর্মকার ও তার পরিবারের সদস্যরা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর আত্মহত্যার নাটক সাজায়। মেয়ে চম্পাকে হারিয়ে মা দুর্গারানী দাস বাকরুদ্ব। সারাক্ষন শুধু মেয়ের ছবি বুকে নিয়ে আহাজারি করছেন তিনি। চম্পার কথা বলতেই দুচোখ তার অশ্রুস্বজল হয়ে উঠে। তিনি জানান,মেয়েটিকে বিয়ে দেওয়ার পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন নানাভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করত। হত্যাকান্ডের পর পিতা মনোরঞ্জন দাস বাদী হয়ে স্বামী অনুপ কর্মকারসহ ৫ জনকে আসামী করে সদরপর থানায় ওই দিনই( ৮ জানুয়ারী-২০২০ইং) একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-০৩। কিন্ত পুলিশ রহস্যজনক ক্ারনে শুধুমাত্র অনুপ কর্মকারকে আসামী করে মামলা গ্রহন করে। পরে ওই আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও মামলায় কোন অগ্রগতি না হওয়্ায় নিহতের পরিবার মেয়ে হত্যার বিচার নিয়ে সন্ধিহান হয়ে পড়েন। অবশেষে ধারনাই সত্যে পরিনত হল।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button