জামানত ছাড়াই ৫ কোটি টাকা লোন নিতে পারবেন উদ্যোক্তারা
পাশাপাশি কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে স্টার্টআপদেরকে মূল্যায়নের প্রেক্ষিতে সীড স্টেজে সর্বোচ্চ ১ কোটি এবং গ্রোথ গাইডেড স্টার্টআপ রাউন্ডে সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে পারবে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে সোমবার (১৯ আগস্ট) এ কোম্পানি গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান, উদ্যোক্তারা আইডিয়া দিয়েই এই কোম্পানি হতে টাকা পাবেন। ব্যাংকে লোন পেতে যে মর্টগেজসহ কতকিছু লাগে এখানে তার কিছুই লাগবে না। তবে এখন পর্যন্ত এখানে ঋণের পরিমাণ ও সুদের হার কত হবে সে সম্পর্কে তিনি জানাননি।
জানা গেছে, কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন হবে ৫০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন হিসেবে কোম্পানিটি ২০০ কোটি টাকা নিয়ে যাত্রা শুরু করবে। একেকটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য ধরা হয়েছে ১০ টাকা।
তথ্যপ্রযুক্তি সচিবকে কোম্পানির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হবে যেখানে ৭ জন পরিচালক থাকবেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদ মর্যাদার কর্মকর্তারা পর্ষদে থাকবেন। এতে ৩৬ জন জনবল থাকার কথা রয়েছে। এবারের বাজেটে অর্থমন্ত্রী স্টার্টআপ খাতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছেন।
আইসিটি বিভাগ ২০১৬ সাল থেকে স্টার্টআপ বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় এ নিয়ে কাজ করছে। এর পর থেকে এ সংক্রান্ত একটি কোম্পানির গঠনের কার্যক্রম শুরু হয়। সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় নানা ধাপ পেরিয়ে এ বিষয়ক প্রস্তাব উপস্থাপনের প্রক্রিয়া শেষ করা হয়।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছিলেন, ২০২১ সালের মধ্যে এই কোম্পানির মাধ্যমে দেশের এক হাজার স্টার্টআপের পাশে দাঁড়াবেন তারা।
তিনি বলেন, মূলত বিকাশমান স্টার্টআপের পাশে দাঁড়ানোই কোম্পানির কাজ হবে। এ ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় স্টার্টআপগুলোতে এই কোম্পানি থেকে বিনিয়োগ করার পাশাপাশি সেগুলোর পরিচালনার অংশীদারও হবে।
সরকারের এক হাজার কোম্পানিতে বিনিয়োগের লক্ষ্য থেকে যদি একটি বিশ্বমানের কোম্পানি বেরিয়ে আসে তাহলে তা দেশের চেহারা বদলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে বলেও জানান তিনি।
সরকার চায় না শিক্ষিত তরুণ শুধু চাকরি খুঁজবে, বরং তারা নতুন চাকরির ব্যবস্থা করবে। সে জন্য দেশে স্টার্টআপ সংস্কৃতি গড়ে তোলা দরকার বলেও যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।