স্বাস্থ্য

অসুখ-বিসুখে চিরতা

চিরতার শেকড় তেতো হলে ও এর ফল মিষ্টি। কালমেঘ গাছের পাতাকেই মানুষ চিরতা নামে ডাকে। এই গাছের পাতা শুকিয়ে পানির সঙ্গে ভিজিয়ে সেই পানি পান করলে আপনি পাবেন অসংখ্য উপকারিতা। চলুন চিরতার হরেক রকম গুণাবলি জেনে নেয়া যাক।

১. চিরতা নানা রকম সংক্রামক অসুখ-বিসুখের হাত থেকে আপনাকে রক্ষা করবে। কারণ চিরতায় রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।

২. চিরতার রস রক্তে চিনির মাত্রা কমিয়ে দেয়। আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগী হয়ে থাকেন, তাহলে তা নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়মিতভাবে চিরতার রস পান করুন। এতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৩. চিরতা ডাল-পাতাসহ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন পুরো ১দিন। পরের দিন সেই পানি ভালো করে ছেঁকে অল্প অল্প করে মাথায় লাগান। ১ ঘণ্টা পরে গোসল করে ফেলুন। এভাবে ১ দিন পর পর ১ সপ্তাহ ব্যবহার করলে চুল পড়া রোধ করতে পারেন আপনি সহজেই।

৪. গর্ভাবস্থায় কিংবা কোনো অসুখ-বিসুখে ক্রমাগত বমি হতে থাকলে চিরতা গুঁড়ো করে এক গ্লাস পানির সঙ্গে একটু চিনি মিশিয়ে খেলে বমি বন্ধ হয়ে যায়।

৫. ত্বকে এলার্জি, খোসপাঁচড়া কিংবা কোনো ঘা হলে পরিমাণ মতো চিরতা সরিষার তেল দিয়ে ভেজে নিন। এবার সেটা ঠাণ্ডা করে অল্প অল্প করে চুলকানির জায়গায় লাগিয়ে দিন।

৬. উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল, উচ্চরক্তচাপ, মুটিয়ে যাওয়া মানুষের নিয়মিত চিরতার পানি পান করা উচিত।

৭. টাইফয়েড জ্বর হওয়ার পর আবারও অনেকের প্যারাটাইফয়েড জ্বর হয়। তাই টাইফয়েড জ্বরের পরে চিরতার রস খেলে প্যারাটাইফয়েড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৮. চিরতার রস কৃমিনাশক।

৯. চিরতা তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে

১০. শরীরের ঝিমুনিভাব, জ্বরজ্বর লাগা দূর করে চিরতার রস।

১১. নিয়মিত তিতা বা চিরতার রস খেলে ফুড পয়জনিং হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।

১২. চিরতা রক্ত পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে।

১৩. চিরতার জল লিভারকে পরিষ্কার রাখে। এছাড়া লিভারের বিভিন্ন সমস্যা যেমন লিভারে চর্বি জমে যাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ফ্যাটি লিভার ও আরও অন্যান্য সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।

১৪. চিরতা বদহজম, অ্যাসিডিটি ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।

১৫. রক্তশূন্যতা কমাতে চিরতার পাতা খুবই উপকারী। কারণ চিরতার জল রক্ত উৎপাদনে সাহায্য করে

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button