সারাদেশ

ফুলবাড়ীতে ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষনের অভিযোগ ৩০ হাজার টাকায় দফারফা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বড়লই গ্রামের ১৪ বছরের এক শিশু ধর্ষিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সে ওই গ্রামের মনসের আলীর মেয়ে এবং বড়লই দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী বলে জানা যায়। মেয়েটির পরিবার হত দরিদ্র হওয়ায় স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিচারের নামে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে তাদেরকে চুপ করে থাকতে বলেছে। এ রকম ন্যাক্কারজনক ঘটনা ও অমানবিক বিচারের কারণে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনুসন্ধানে গেলে নির্যাতিত ওই ছাত্রী এ প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করে, একই ওয়ার্ডের চর বড়লই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে মাইদুল ইসলাম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।

এ সময় তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে বলে অভিযোগ করে মেয়েটি। সে আরও জানায়, ২০ ডিসেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে মাইদুল তাকে পার্শ্ববর্তী ভুট্টাক্ষেতে ডাকে। তার কথামতো সে ওখানে যায়। এ সময় কয়েকজন এলাকাবাসী তাদের দেখে ফেলে এবং ধরার জন্য ধাওয়া করে। মাইদুল পালিয়ে গেলে পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয় সে। তার সাথে যা হয়েছে এজন্য সঠিক বিচার দাবি করে মেয়েটি। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পরদিন গভীর রাতে চর বড়লই নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে খলিলুর রহমানের বাড়িতে এ ব্যাপারে বিচারের আয়োজন করে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী।

বিচারে বড়লই নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল হকের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন মৃত জরিম উদ্দিনের ছেলে বুলু মিয়া(৪৮), মৃত খাদিম ব্যাপারীর ছেলে নৈমুদ্দিন সরকার(৫৫), আকবর আলীর ছেলে ওআইদুল (দুকধন) (৪৫), খরকু মামুদের ছেলে এন্তাজ আলী (৪০) প্রমূখ। এ ব্যাপারে ওই এলাকার সাবেক মেম্বার নজরুল ইসলাম, জহির ড্রাইভার, মুন্সিপাড়া জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন বাবুল উদ্দিনসহ এলাকার অনেকেই বলেন, এ ধরণের বিচারের ফলে অসামাজিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পওয়ার আশংকা রয়েছে। তারা সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। ভূক্তভোগি মেয়েটির বাবা মনসের আলী বলেন, হামরা গরিব মানুষ কি আর কইরমো। বিচারে ৩৭ হাজার টাকা ফয়সালা হলেও হামরা পাছি ৩০ হাজার টাকা।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button