জাতীয়

যশোরে ভবদহ জলাবদ্ধতা নিরাসনে টিআরএম’র বিকল্প

যশোর ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: যশোরে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি বলেছেন , ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে টিআরএম প্রকল্পের বিকল্প নেই।বারবার নদী খনন করলেও পুনরায় পলিতে ভরাট হচ্ছে নদীটি। জনগণের টাকা নদী খনন প্রকল্পে ব্যয় না করে ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী সমাধান হিসেবে টিআরএম(টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট) প্রকল্প চালু করতে হবে। একই সাথে ভবদহ এলাকার পানি ভৈরব নদীতে প্রবাহের জন্য আমডাঙ্গা খাল খনন প্রয়োজন বলে মনে করেন প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি। তিনি বুধবার (১২ আগষ্ট)  বিকেলে যশোরের অভয়নগরে ভবদহের ২১ ভেন্ট স্লুইসগেট চত্বরে ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসন শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
ভবদহ জলাবদ্ধতা নিরসন আন্দোলন কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভার সভাপতিত্ব করেছেন, আন্দোলন কমিটির আহবায়ক ও অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ এনামুল হক বাবুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন, যশোর জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান, যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহিদুল ইসলাম, অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুসেইন খাঁন,মণিরামপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কেএম রফিকুল ইসলাম।
এছাড়া মতামত প্রকাশ করেছেন, আন্দোলন কমিটির নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ কামরুজ্জামান, পায়রা ইউপি চেয়ারম্যান বিষ্ণুপদ দত্ত, সুন্দলী ইউপি চেয়ারম্যান বিকাশ রায় কপিল, মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান প্রমুখ।
সভার সভাপতি আলহাজ এনামুল হক বাবুল বলেছেন, ভবদহকে হাতিয়ার করে লুটপাট নয়, জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান করতে হবে। টিআরএম প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আমডাঙ্গা খালের প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নজরদারী বাড়াতে হবে। পরে নেতৃবৃন্দ ভবদহের ২১ ভেন্ট স্লুইচ গেটের দুই পাশে ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে চারশত মিটার নদী খনন কাজ এবং মশিয়াহাটী গ্রামসহ বিভিন্ন জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন করেন। এই দিকে ভবদহে প্রকল্পের নামে লুটপাট বন্ধ ও প্রকল্প বাতিলের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে স্মারকলিপি দিয়েছে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি। স্মারকলিপি প্রদানের মাত্র একদিন পরেই প্রতিমন্ত্রী ভবদহ এলাকা পরিদর্শণ ও সভা করেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ভবদহ অঞ্চলের ৫২ বিল পাড়ের ২০০ গ্রামের ১০ লক্ষাধিক মানুষকে উচ্ছেদ করে জলাভূমি করার চক্রান্ত দীর্ঘদিনের। সেই চক্রান্তের অংশ হিসেবে ২০১৭ সালে গৃহীত টিআরএম প্রকল্প বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এখন জলাবদ্ধতা দূরীকরণের নামে লুটপাটের জন্য ৮০৮ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণের চক্রান্ত চলছে। এত বড় প্রকল্প ভবদহ জনপদের মানুষের কোন মতামত নেওয়া হয়নি।
প্রকল্পটি গণবিরোধী। এর আগে জনপদের মানুষ জোয়ারাধার বাস্তবায়নের (টিআরএম) পক্ষে মত দেয়। যার ভিত্তিতে ২০১৭ সালে টিআরএম প্রকল্প গৃহীত হয়েছিলো। সেই প্রকল্প বাতিল করে ৮০৮ কোটি টাকার ‘লুটপাট আর ভাগবাটোয়ারার প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এই অঞ্চলের ১০ লক্ষাধিক মানুষ জনপদ থেকে উচ্ছেদ হবে। তাই এই গণবিরোধী প্রকল্পের ভাবনা বাদ দিয়ে দ্রুত টিআরএম প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি জানানো হচ্ছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button