শিক্ষাঙ্গন

প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চান অর্ধকোটি কোচিং শিক্ষক

করোনাভাইরাসের কারণে লক্ষাধিক কোচিং সেন্টারের অর্ধকোটি শিক্ষক-কর্মচারী উপার্জনহীন হয়ে পড়েছেন। দীর্ঘদিন ছুটি থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের উপক্রম হয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে অনলাইনে ক্লাস শুরুর অনুমতি ও আর্থিক সহযোগিতা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছে কোচিং সেন্টারগুলোর সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব শ্যাডো এডুকেশন বাংলাদেশ (অ্যাসেব)।

রোববার সংগঠনের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা মো. ইমাদুল হক (ই হক স্যার) স্বাক্ষরিত আবেদনটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দাখিল করা হয়।

আবেদনে বলা হয়, শিক্ষাব্যবস্থায় গতি সঞ্চার ও শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ক্ষতি পূরণে ছায়া শিক্ষা সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন অব শ্যাডো এডুকেশন বাংলাদেশ’ হতে পারে বিশেষ সহায়ক শক্তি। অবিলম্বে সংসদ টেলিভিশনের পাশাপাশি আমাদের সংগঠনটিকে অনলাইনে লাইভ ক্লাসের অনুমতি দিলে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের পাশাপাশি প্রশ্নোত্তর পর্বও চলমান রাখা সম্ভব। যা অনেকাংশে ক্লাস রুমে বসে ক্লাস করার মতোই হবে।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে আবেদনে আরও বলা হয়, ক্লাসের বাইরে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করে যাচ্ছে এই ছায়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। বছরের একটা দীর্ঘ সময় স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকে এবং সময় স্বল্পতার কারণে সিলেবাস শেষ করা সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে এই ছায়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। যেখানে কর্মরত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দরিদ্র ও মেধাবী কয়েক লাখ শিক্ষার্থী। যারা দরিদ্র পিতা-মাতাকে চাপ না দিয়ে নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পারছে নিজেদের পড়াশোনার খরচ। আমরা বিশ্বাস করি আপনি এ সমস্ত বিষয়ে অবগত আছেন।

‘আপনি আরও অবগত আছেন যে, ছায়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ভাড়া বাসায় ও শতভাগ নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত। এই করোনা নামক মহামারির কারণে দেশের প্রায় লক্ষাধিক ছায়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের পথে। যেখানে কর্মরত প্রায় অর্ধকোটি মানুষ। যদি এইভাবে এই প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ রাখতে হয় তাহলে আপনার সহযোগিতা ছাড়া পুনরায় চালু করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাই অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো ব্যক্তিমালিকানাধীন এই ছায়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও আপনার সুদৃষ্টি ও আর্থিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করে’- বলা হয় আবেদনে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button