রংপুর বিভাগসারাদেশ

নীলসাগরে কমেছে অতিথি পাখির আগমন

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীর দর্শনীয় স্থান নীলসাগরে প্রতিবছর শীতের সময় অতিথির পাখির আগমনে মুখরিত হয়ে ওঠে। আর অতিথি পাখির সেই সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভীর করে পর্যকরা। কিন্তু এবার ঘটেছে এর ব্যতিক্রম। ভরা মৌসুমেও নেই অঅতিথি পাখির দেখা। এদিকে পাখি দেখতে না পেয়ে হতাশ দর্শনার্থীরা। এর কারণ হিসেবে পরিবেশ আর নিরাপত্তার অভাবকেই দায়ী করেন তারা। তবে নীলসাগরের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা জানান, স্বাভাবিক কারণেই পাখি আসা কমে গেছে।

নীলফামারী জেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান- নীলসাগর। ৫৪ একর জায়গার মধ্যে শুধু দীঘিই রয়েছে ৩৩ একর জমির ওপর। এর মূল আকর্ষণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পাখি। প্রায় ৩শ বছর আগে বিরাট নামের এক বৈদিক রাজা এই দীঘিটি খনন করান। প্রথমে দিঘীর নাম “বিরাট দিঘী” রাখা হলেও কালের পরিবর্তনে এর নাম হয় “বিন্না দীঘি” এবং বর্তমানে “নীলসাগর”। পাড় ঘেঁষে রয়েছে নারিকেল, বনবাবুল, আকাশমনি, মেহগনিসহ অসংখ্য গাছ। শীতের মৌসুমে হিমালয় কিংবা সাইবেরিয়া অঞ্চল থেকে অনেক পাখি আসে এখানে। তবে বর্তমানে পাখির দেখা নেই বললেই চলে।

আসলাম হোসেন নামের এক দর্শনার্থীরা জানান, শুনেছি এখানে শীতকালে অনেক অতিথি পাখির দেখা মেলে। তাই সুদুর নওগাঁ থেকে এখানে এসেছি। কিন্তু অতিথি পাখি দেখতে না পেয়ে হতাশ হতে হলো। সানজিদা খাতুন নামের আরেক পাখি প্রেমিক দর্শনার্থীরা জানান, ‘এখানে রক্ষণা-বেক্ষনের অভাব রয়েছে। সিকিউরিটি নেই এছাড়াও বাইরের লোকজন ডুকে পাখি মারে। আর এইসব কারণে দিনে দিনে পাখির সংখ্যা কমতেছে।’ তবে নীলসাগরের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তার দাবি, স্বাভাবিক কারণেই অতিথি পাখি কম আসছে। নীলসাগর-এর পরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা কোন সময়েই এই পাখি গুলোর পরিচর্যা করে নাই। তারা প্রাকৃতিকভাবে আসে,এবং প্রাকৃতিকভাবে চলে যায়।
‘অবশ্য নীলসাগরের সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা জানালেন জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, এখানকার জীববৈচিত্র অক্ষুন্ন রাখার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button