রাজশাহী বিভাগসারাদেশ

গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজের নাম ব্যবহার করে বগুড়ায় হায় হায় কোম্পানী গ্রাহকের ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও

স্টাফ রিপোর্টার: বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব চ্যানেল আই এর কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান হ্্রদয়ে মাটি ও মানুষের উপস্থাপক ও প্রযোজক শাইখ সিরাজের নাম ব্যবহার করে বগুড়া সদরের ঠেঙ্গামারা বালাপাড়া গ্রামে বাসা ভাড়া নিয়ে কৃষি ফাউন্ডেশন নামে এনজিও খুলে গ্্রামের সহজ সরল মহিলাদের কাছ থেকে ঋণ দেওয়ার কথা বলে সঞ্চয় সংগ্রহ করে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে।
সরজমিনে ভূক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে গত বৃহস্পতিবার (তাং১৬/০৭/২০ইং) ঠেঙ্গামারা বালাপাড়া গ্রামের মৃত ইনতাজ প্রামাণিকের ছেলে মোঃ হবিবর রহমানের কাছ থেকে মাসিক ১৪ হাজার টাকা বাড়ী ভাড়ার মৌখিক চুক্তিতে কৃষি ফাউন্ডেশন নামে ভূয়া এনজিওর তিন জন কর্মকর্তা বাড়ী ভাড়া নেয়। বাড়ী ভাড়া নিয়ে সদরের বালাপাড়া কৈগাড়ী, নওদাপাড়া,চাঁনপুর, বাঘোপাড়া,ঠেঙ্গামারা,মহিষবাথান গ্রামের মহিলাদেরকে প্রলুব্ধ করে ভর্তি ফি-সহ জমা ৫৫০০টাকা নিয়ে বিপরীতে ৫০ হাজার টাকা,৬৫০০ টাকার বিপরীতে ৬০ হাজার, ১০,৫০০ টাকার বিপরীতে ১ লক্ষ টাকা ঋণ প্রদানের প্রতিশ্রুতী দিয়ে সঞ্চয় সংগ্রহ করে। এ ভাবে উল্লেখিত গ্রাম থেকে প্রায় ২০০ মহিলার নিকট থেকে ১০ লক্ষ টাকা সঞ্চয় সংগ্রহ করে। পরের দিন শুক্রবার সকাল ১১টায় সকল মহিলাদেরকে এনজি অফিসে ঋণ গ্রহণের জন্য আসতে বলে। মহিলাদের বিশ্বাস অর্জনের জন্য ভাড়া করা বাসার ছাদে ঋণ বিতরণের জন্য স্থানীয় ডেকোরেটর থেকে কাপড় চেয়ার টেবিল ভাড়া নিয়ে প্যান্ডেল তৈরী করে।

বগুড়া সদরের ঠেঙ্গামারা বালাপাড়া গ্রামে বাসা ভাড়া নিয়ে কৃষি ফাউন্ডেশন নামে ভূয়া এনজিও খুলে গ্্রামের সহজ সরল মহিলাদের কাছ থেকে ঋণ দেওয়ার কথা বলে সঞ্চয় সংগ্রহ করে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে কৃষি ফাউন্ডেশন নামে একটি ভূয়া এনজিও। গতকাল রবিবার ভূক্তভোগী মহিলারা সদর থানার পুলিশ কর্মকর্তাদের নিকট প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।

নওদাপাড়ার কলোনী গ্রামের সুমি আক্তার,ইয়াসমিন আক্তার রেশমা, জলি, বৃষ্টি, সুন্দরী,গোলাপী ও চাঁনপুর গ্রামের আমেনা,সাথী,সখিনা,প্রিয়া জানান কৃষি ফাউন্ডেশনের এনজিও কর্মকর্তারা তাদের বলেন হ্্রদয়ে মাটি ও মানুষ কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠানের উপস্থাপক শাইখ সিরাজের এই এনজিও। করোনার কারনে ক্ষতিগ্রস্থ গরীব মানুষদের সহায়তা করার জন্য তিনি অল্প সঞ্চয় রেখে ঋণ বিতরণ করতে বলেছে। আপনাদের সন্দেহ করার কোন অবকাশ নেই। এই হায় হায় কোম্পানী মহিলাদেরকে কোন জমা বই বা কোন ডকুমেন্টস দেয়নি। মৌখিক ভাবে তারা সবার কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করেছে। কৃষি ফাউন্ডেশন নামে এই ভূয়া এনজিওর তিন জন কর্মকর্তা উল্লেখিত নগদ টাকা সংগ্রহ করে। জাহিদ ও রতন নামে (সম্ভবত ভূয়া নাম) দুই জন কর্মকর্তা ভূক্তভোগী মহিলাদেরকে ঋণ সংগ্রহ ও দুপুরের খাবারের দাওয়াত দিয়ে শুক্রবার (তাং১৭/০৭/২০ইং) অফিসে আসতে বলে। গ্রাহকরা অফিসে এসে দেখে অফিসের গেটে তালা ঝুলছে। তাদের দেয়া ০১৩১৬৯৮৬৭৭২, ০১৯২০১৯১৫৭৮, ০১৯১৬৭৬৫৮০২ নম্বরে ফোন করলে তা বন্ধ পান। তারা হতাশ হয়ে চলে যান। এ খবর চারদিকে ছড়িয়ে পরলে গতকাল রবিবার তারা আবার ঐ অফিসের সামনে হাজির হয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে সেখানে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে সদর থানার সাব-ইন্সপেক্টর বেদার উদ্দিন ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন ও ভূক্তভোগী মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন। এ বিষয়ে ১৯/০৭/২০ইং তারিখে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button