স্বাস্থ্য

ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে যেসব কারণে

ঘন ঘন প্রস্রাব যাদের হয়, তাদের জন্য এটা বড় ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া পলিইউরিয়ার লক্ষণ, তবে এর চেয়েও বড় কোনো শারীরিক সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে। রাতে ঘুমানোর আগে ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ অনুভব করলে তা ডায়াবেটিসের কারণে হয়, তেমনটাই বলেন ডাক্তাররা। তবে ডায়াবেটিস ছাড়া অন্য কিছু লক্ষণও যদি এ সময় দেখা দেয়, তাহলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। সেগুলো হলো-

# পিঠে অথবা পেটে ব্যথা

# মাথা ঘুরানো, বমি ভাব

# গায়ে জ্বর থাকা

# ক্ষুধা বা তৃষ্ণা বেড়ে গেলে

# গোপনাঙ্গ থেকে অস্বাভাবিক কোনো তরল কিছু নির্গত হলে

# প্রস্রাবের বেগ থাকলেও প্রস্রাব করতে সমস্যা হলে

# প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে

# প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া বা প্রস্রাবের রং ভিন্ন হওয়া

# প্রস্রাব করতে ব্যথা বা অস্বস্তি বোধ হলে

কিডনি সমস্যার কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে। তাই দ্রুত চিকিৎসা না করালে পরে তা বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে আপনার। এছাড়া আরো বেশ কিছু কারণে হতে পারে ঘন ঘন প্রস্রাব। সেগুলো হলো-

# স্ট্রোক বা নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হলে মূত্রথলিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

# উচ্চ রক্তচাপ কমাতে বা কিডনি সুস্থ রাখতে ওষুধ সেবনের কারণে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি নির্গত হয় বলে ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে।

# হঠাৎ করে মূত্রথলিতে ব্যথা দেখা দিলে প্রস্রাব করা জরুরি হয়ে পড়ে।

# প্রোস্টেট বড় হয়ে গেলে ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে।

# গর্ভবতী নারীদের জরায়ু বড় হয় বলে মূলথলিতে চাপ সৃষ্টি হয়। তাই ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে সে সময়।

# টাইপ ওয়ান ও টাইপ টু ডায়াবেটিসের কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়।

আর খুব কম ক্ষেত্রে দেখা যায় রেডিয়েশন থেরাপি, মূত্রথলির ক্যানসার এসবের কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে ওভার অ্যাকটিভ ব্লাডার সিনড্রোমের কারণে মূত্রথলি পূর্ণ না হলেও তারা প্রস্রাবের তাগিদ অনুভব করেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button