ঘুম মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়
বলা হয়, বয়স বাড়ার সাথে সাথে যুক্তি তৈরির ক্ষমতা, দ্রুত জবাব তৈরির মতো মানসিক ক্ষমতা কমতে থাকে। অনেকেই নাম, ফোন নাম্বার, জায়গার নাম মনে রাখতে পারেন না। কিন্তু এই ধরনের পরিস্থিতির মুখে পড়লেও নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। সহজ কিছু কায়দাকানুনের মাধ্যমে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ানো যায়।
জেনে নেওয়া যাক মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ানোর কিছু কৌশল:
ব্যায়ামে মস্তিষ্কের আকার বাড়ে- শরীরচর্চা করলে দেহের পেশির সাথে সাথে মস্তিষ্কের আকারও বৃদ্ধি পায়। ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কের সিন্যাপসের সংখ্যা বাড়ে। এর ফলে মগজে নতুন নতুন কোষ তৈরি হয়। আর কার্ডিওভাসকুলার ব্যায়ামের ফলে মগজে বেশি হারে অক্সিজেন এবং গ্লুকোজ সরবরাহ হয়।
হাঁটাচলায় বাড়ে স্মৃতিশক্তি- কোন শব্দ বা বাক্য যদি হেঁটে হেঁটে মুখস্থ করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে সেটা বহুদিন ধরে মনে থাকে।
অবসর আবশ্যক- স্বল্প মাত্রার মানসিক চাপ আসলে স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এতে বিপদের সময় বা জরুরি প্রয়োজনে পরিস্থিতিকে দ্রুত মোকাবেলার শক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ মস্তিস্কের জন্য খুবই খারাপ। সুতরাং, কাজের ফাঁকে অবসরের সময় বের করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
নতুন নতুন আইডিয়া: মগজের শক্তি বৃদ্ধির একটা পথ হলো নতুন কোন কাজ করার জন্য মস্তিষ্ককে চ্যালেঞ্জ করা। ছবি আঁকা কিংবা বিদেশি ভাষা শিক্ষার মধ্য দিয়ে এটা করা সম্ভব।
গান শুনতে হবে: সঙ্গীত যে মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করতে পারে, তার প্রমাণ রয়েছে। ব্যাপারটা এই রকম- কোন ঘটনার ঘটার সময় কেউ যদি কোন গান শুনেন তবে পুনরায় সেই গান শোনার সময় সেই ঘটনার আবহের স্মৃতি তার মস্তিষ্কে জেগে উঠঠে।
পর্যাপ্ত ঘুম: একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক ৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। একটা চমৎকার ঘুম মস্তিষ্ককে অধিক কার্যকরী করে তোলে। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম খুবই জরুরী।