রাহুলের ডিমোশনে প্রিয়াংকার প্রমোশন
চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনীতিতে এসেছিলেন কংগ্রেসের সদ্যপদত্যাগী সভাপতি রাহুল গান্ধীর বোন প্রিয়াংকা গান্ধী। তাকে দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।
লোকসভায় লজ্জার হারের পর পদত্যাগ করেছেন রাহুল। উচ্চশিখর থেকে একেবারে শূন্যে; যেন চরম ডিমোশন। ভাইয়ের এ ডিমোশনে প্রমোশন হচ্ছে বোন প্রিয়াংকার।
শিগগিরই তিনি পুরো উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।
২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন হবে। ভোটকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই মাঠে নেমে পড়েছেন প্রিয়াংকা। জেলাস্তরে কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন তিনি। কংগ্রেস সূত্রের খবর, প্রিয়াংকা ইতিমধ্যে কয়েকজন প্রবীণ কংগ্রেস নেতার সঙ্গে দেখা করেছেন। গত লোকসভা ভোটে দলের যে প্রার্থীরা হেরে গিয়েছেন, তাদের সঙ্গেও কথা বলেছেন।
জেলাস্তরের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে তিনি রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশে দলকে চাঙ্গা করতে তিনি শিগগিরই বিস্তারিত পরিকল্পনা ঘোষণা করবেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে রাহুল বলেছিলেন, কংগ্রেস ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশে সরকার গঠনের লক্ষ্যে এগোচ্ছে। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি প্রিয়াংকা ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দিয়েছি। আমি চাই না আমাদের দল এ রাজ্যে দুর্বল হয়ে থাকুক। ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস সরকার গঠিত হওয়া উচিত।’
উত্তরপ্রদেশে জয়ের আশাবাদ জানিয়ে রাখলেও লোকসভায় পরাজয়ে নিজ পদ থেকে স্বইচ্ছায় পদত্যাগ করেন রাহুল। দলীয় ইচ্ছার বাইরে গিয়ে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন দল কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন রাহুলের মা সোনিয়া গান্ধী।
দলের হাল ধরতে ধীরে ধীরে নিজেকে পোক্ত রাজনীতিক হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন প্রিয়াংকা। সরকারের বিভিন্ন বিতর্কিত সিদ্ধান্তের জবাব দিতে শুরু করেছেন তিনি। মঙ্গলবার ভারতের অর্থনৈতিক মন্দার সমালোচনা করেন প্রিয়াংকা।
নরেন্দ্র মোদি সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘শতবার মিথ্যা বলেও একে সত্যে পরিণত করা যাবে না। বিজেপি সরকারের এটা মেনে নেয়া উচিত যে, দেশে এখন ঐতিহাসিক অর্থনৈতিক মন্দা চলছে।’