রংপুর বিভাগসারাদেশ

নীলফামারীতে বন্যায় ২৭ হেক্টোর জমির ফসলহানিতে ৮৬৭ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ

নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীতে অতিবৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে। রোপা আমন বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় আমন ধানের চাষ নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলায় বন্যার পানি উঠেছিল এমন এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে শাক-সবজির ক্ষেতগুলো। এই জনপদের মানুষের সিংহভাগ সবজির চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে ওই অঞ্চলের উৎপাদনকৃত শাক-সবজির যোগান থেকে। কিন্তু এবারে বন্যায় পটল, ঝিঙ্গা, শসা, করলা, বরবটি, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স ও মরিচের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে করে কমে গেছে শাক-সবজি সরবরাহ বেড়েছে দাম। জলঢাকা উপজেলার শৈলমারী ইউনিয়নের ইয়াকুব আলী বলেন, ৩ বিঘা জমিতে এবারে কাঁচা মরিচ লাগিয়ে ছিলাম। কিন্তু বন্যায় সমস্ত ক্ষেতের ফসল তলিয়ে গেছে। একই উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের আক্কাস নামের এক কৃষক বলেন, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এবারের সাড়ে চার বিঘা জমিতে ঢেঁড়স লাগিয়ে ছিলাম। বন্যায় সমস্ত ফসল নষ্ট হওয়ায় ঋণের টাকা পরিশোধে বেশ দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন অনুযায়ী খরিপ-২ (২০২০-২১) মৌসুমে এবারের সৃষ্ট বন্যায় ডিমলার ৬টি ও জলঢাকার ৩টি ইউনিয়নের মোট ২৭ দশমিক ৮ হেক্টর জমির ফসল পুরোপুরি ক্ষতি হয়েছে। এতে করে প্রায় ক্ষতিগ্রস্ত ৮৬৭ জন কৃষকের ৫৫ দশমিক ২৯ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। বীজতলা নষ্ট হওয়ায় কৃষকরা আমন চাষ করতে পারবে কি না তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ওবায়দুর রহমান মন্ডল বলেন, বন্যায় সৃষ্ট ক্ষয়-ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ইতোমধ্যেই আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছি। যার মধ্যে কমিউনিটি বীজ তলা তৈরী করে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের আমন চারা রোপনের ব্যবস্থা গ্রহণ। পাশাপাশি বন্যার আশংকা রয়েছে এমন কিছু জায়গায় ১৬টি বীজ তলা তৈরী করা হয়েছে এবং কৃষকদের ভাসমান বীজতলা তৈরীর প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে এসব ভাসমান বীজতলা খালি হলে সবজি বীজ ছিটিয়ে দেয়া হবে। মিটবে সবজির চাহিদা।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button