আন্তর্জাতিক

করোনা আতঙ্ক: ইমিগ্রেশন থেকে বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো ভারত

ভারতীয় ভিসা থাকা সত্ত্বেও দুই মাস আগে চীনে যাওয়ায় করোনাভাইরাস আতঙ্কে শওকত হোসেন (৫৮) নামের এক বাংলাদেশি নাগরিককে ভারতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

সোমবার সকাল নয়টার দিকে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা ইমিগ্রেশন থেকে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।

তবে করোনাভাইরাস আতঙ্কে শওকতকে ফেরত পাঠানো হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে থাকা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল স্বাস্থ্য ডেস্ক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার শরীরে এই ভাইরাসের কোনো লক্ষণ পায়নি।

আখাউড়া ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, শওকত চট্টগ্রামে মোটর যন্ত্রাংশের ব্যবসা করেন। ব্যবসায়িক কাজে গত নভেম্বর মাসের শেষ দিকে তিনি চীনে যান। আজ সোমবার সকালে আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বহির্গমন ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা ইমিগ্রেশনে যান। পাসপোর্ট যাচাইয়ের সময় শওকতের পাসপোর্টে চীনের ভিসা দেখতে পান ভারতীয় ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তারা। এ সময় আগরতলা ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তারা কোনো ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করেই শওকতকে আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠান। পরে আখাউড়া ইমিগ্রেশনে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল ডেস্ক শওকতের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। কিন্তু পরীক্ষায় শওকতের শরীরে করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ পাননি স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা।

শওকত আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, গত নভেম্বর মাসের শেষ দিকে তিনি এক সপ্তাহের জন্য চীনে যান। কেনাকাটা ও বেড়ানোর জন্য আজ সোমবার সকালে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। কিন্তু পাসপোর্টে চীনের ভিসা দেখতে পেয়ে আগরতলা ইমিগ্রেশনে তাকে আটকে দেওয়া হয়। আগরতলা ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তারা বলেন, চীনে এখন করোনাভাইরাসের সমস্যা চলছে। দুই মাস আগে চীনে যাওয়ায় তাকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। এক মাস পরে তাকে ভারত যেতে বলা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ডিআইও-১) ইমতিয়াজ আহমেদ ও আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোরশেদুল হক বলেন, আখাউড়া চেকপোস্টের মেডিকেল স্বাস্থ্য ডেস্ক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে শওকতের শরীরে করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ পায়নি। তিনি পুরোপুরি সুস্থ আছেন। কেবল চীনে যাওয়ার কারণেই তাকে আগরতলা ইমিগ্রেশন থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button