টিএমএসএস ও হারভেস্ট প্লাসের উদ্যোগে জিংক ধানের বীজ বাজারজাত করণে কর্মশালা
টিএমএসএস ও হারভেস্ট প্লাসের উদ্যোগে গতকাল সোমবার বগুড়ার গাবতলী উপজেলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বীজ ডিলার ও খুচরা বিক্রেতাদের বায়ো ফরটিফাইড জিংক ধানের বীজ ব্রী ধান ৭৪ ও ৮৪ বাজারজাত করণে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) বগুড়ার উপ-পরিচালক (বীজ) মোঃ শহীদুল্লাহ আল মামুন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন হারভেস্ট প্লাসের সিনিয়র ম্যানেজার ড. আবু ছালেক, গাবতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান প্রমূখ।মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে জিংক ধানের উপকারিতা ও কার্যকারিতা বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন হারভেস্ট প্লাসের কৃষি গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ জাকিউল হাসান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন টিএমএসএস এর জোনাল ম্যানেজার ও প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ মাহবুবুর রহমান মিঠু। কর্মশালায় জিংক ধান সম্পর্কে বীজ ব্যবসায়ীদেরকে ধারণা দেওয়া হয়। কৃষকদের কাছ থেকে জিংক ধান সংগ্রহ, বীজ বিক্রয় ও সংরক্ষণ পদ্ধতি, জিংক ধান জনপ্রিয় করতে প্রচার প্রচারণার কলা কৌশলসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বিএডিসি, হারভেস্ট প্লাস ও টিএমএসএস এর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ জিংক ধানের বীজ মজুদ, বাজারজাত, সরবরাহ ও যান্ত্রিক সহযোগীতার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
উল্লেখ্য মানুষের শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে জিংক চালের ভাত খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জিংক মানুষের শরীরের জন্য অতিব জরুরী একটি খনিজ উপাদান। এই ধানের ভাত খেলে মানুষের শরীরে জিংকের অভাব পূরণ হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ও উচ্চতা বাড়ে। কর্মশালায় জিংক ধানের বীজ ও চাল দেশের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ দোকান থেকে জনগণ ক্রয় করতে পারবেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান।