রাজনীতি

শনিবার জিয়াউর রহমানের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী

শনিবার (৩০ মে) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন তিনি। শোকাবহ এই দিনটি স্মরণে বিএনপি ১২ দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
করোনা ভাইরাসের মহামারির কারণে প্রতিবছরের মতো সর্বব্যাপী কর্মসূচি পালন করতে পারছে না দলটি। ভার্চুয়াল আলোচনা সভা, খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, বস্ত্র বিতরণ ও আর্থিক সহযোগিতাসহ কিছু সীমিত কর্মসূচি নিয়েছে দলটি। রাষ্ট্রপতি জিয়া খালকাটা কর্মসূচি, সবুজ বিপ্লব, শিল্প উন্নয়ন এবং যুগোপযোগী ও আধুনিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে স্বনির্ভর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা রাখেন। নারী সমাজের উন্নয়ন ও শিশুদের বিকাশে তার আগ্রহ জাতিকে নতুন দিকনির্দেশনা দেয়। তার সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেম ছিল অতুলনীয়।
দেশকে যখন তিনি সামনের দিকে নিয়ে চলেছেন সেই সময়ে তার বিরুদ্ধে শুরু হয় দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র। ১৯৮১ সালের ২৯ মে তিনি এক সরকারি সফরে চট্টগ্রামে যান। ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে গভীর রাতে একদল সেনাসদস্য তাকে হত্যা করে। বিপথগামী সেনাসদস্যরা তার লাশ চট্টগ্রামের রাউজানের গভীর জঙ্গলে কবর দেয়। তিন দিন পর ঐ লাশ উদ্ধার করে ঢাকার শেরেবাংলা নগরে এনে দাফন করা হয়।
জিয়াউর রহমানের সংক্ষিপ্ত জীবনী : জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙালি পল্টনের মেজর ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি তৎকালীন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন। এরপর তিনি সেনাবাহিনীর প্রধান হন। মোশতাক সরকারের ৮১ দিনের শাসনের পর ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশের প্রধান সেনা প্রশাসক ও রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি প্রথমে জাতীয় গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) এবং ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি গঠন করেন। তার দল বিএনপি গত এক যুগ ধরে ক্ষমতার বাইরে থেকে এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে।
কর্মসূচি : শনিবার ভোর ৬টায় নয়াপল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন। একই দিন সকাল ১১টায় দলের মহাসচিবসহ জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও মাজার জিয়ারত করবেন। বিকাল সাড়ে ৩টায় ভার্চুয়াল আলোচনা সভা হবে। এরপর ১০ জুন পর্যন্ত প্রতিদিন গণমাধ্যম ও সামাজিক গণমাধ্যমে বিষয়ভিত্তিক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button